ভারতের উইকেট নেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
এই নিয়ে দু’বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হচ্ছে। কোনও বারই ফাইনালে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। কিন্তু এ বারের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যের পিছনে হাত রয়েছে পাকিস্তানের বাবর আজমের! এমন তথ্যই খুঁজে পেয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সমাজমাধ্যমে একটি পুরনো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, ২০২১-২২ সালে পাকিস্তান সফরে খেলার সময় ট্রেভিস হেডের হাতে একটি ব্যাট তুলে দিচ্ছেন বাবর। ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে যে ব্যাট দিয়ে শতরান করেছেন হেড, সেটি নাকি বাবরের উপহার দেওয়া ব্যাটেই! এমনটাই দাবি করেছেন সমর্থকেরা। দু’টি ব্যাটের মধ্যে সাদৃশ্যও খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।
প্রথম ইনিংসে হেডের শতরান বিপদে ফেলে দিয়েছে ভারতকে। ৭৬ রানের মাথায় ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শতরান করেন হেড। স্মিথের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে তাঁর ২৮৫ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়াকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দেয়। ১৭৪ বলে ১৬৩ করে আউট হয়ে যান হেড। ৯৩.৬৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন তিনি, যা টেস্টের পক্ষে খুবই ভাল। তিনি ২৫টি চার এবং ১টি ছয় মেরেছেন।
অন্য দিকে, স্মিথ ২৬৮ বলে ১২১ রান করেন। ১৯টি চার মেরেছেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে ৯টি শতরান হয়ে গেল তাঁর। চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হওয়া পর্যন্ত ভারত পিছিয়ে রয়েছে ২৯৬ রানে।
ভারতের হয়ে ব্যাটে ভাল খেলেছেন শার্দূল ঠাকুর। তৃতীয় দিনের খেলার পর তিনি বলেন, “এ বারের পিচটা আলাদা। গত বার যখন এই পিচে খেলেছিলাম আমরা জানতাম আকাশে মেঘ থাকলে বল নড়াচড়া করবে। সে বার খেলা যত এগিয়েছিল, ততই ব্যাটিং সহায়ক পিচ হয়ে গিয়েছিল। এ বার সেটা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার বল ওঠানামা করেছে।”
শার্দূল যে সময় ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তখন ভারত ১৫২ রানে ছ’উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। ভারতীয় অলরাউন্ডার বলেন, “পিচ অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। অদ্ভুত জায়গা থেকে বল বাউন্স করছিল। হাতে রান ছিল না বেশি, ছ’উইকেট পড়ে গিয়েছিল। কঠিন সময়ে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। খুব বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাও নেই আমার। নিজেকে বলেছিলাম, এটাই টেস্ট ক্রিকেট, এখানে এমনই হয়।”
অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা এমন লেংথে বল করছিলেন যে, ভারতীয় ব্যাটাররা খেলতে বাধ্য হন। কিন্তু শার্দূল মনে করেন, পিচের একটি বিশেষ জায়গা থেকেই বল অদ্ভুত ভাবে বাউন্স করছিল। তিনি বলেন, “একটা জায়গায় বল পড়লে, বেশি বাউন্স করছে। পিচে ঘাসও রয়েছে। এমন লেংথে বল আসছে যে, ব্যাটার ছাড়তেও পারছে না, আবার খেললেও বিপদ। এমন অবস্থায় খেলতেই হচ্ছে। এই পিচে আমি বলব শর্ট লেংথে বল করাটাই ঠিক।”