কলকাতা বিমানবন্দরে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে তিতাস সাধু (বাঁ দিকে) ও হৃষিতা বসু। বিশ্বকাপ জিতে শহরে ফিরলেন তাঁরা। —নিজস্ব চিত্র
মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরে শহরে ফিরলেন দুই বাঙালি বিশ্বজয়ী চুঁচুড়ার তিতাস সাধু ও হাওড়ার হৃষিতা বসু। আর এক বিশ্বজয়ী বাঙালি কন্যা রিচা ঘোষ অবশ্য ফেরেননি। তিনি আমদাবাদ থেকে রওনা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে। কয়েক দিন পরেই সেখানে শুরু মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানে ভারতের বড়দের দলেও রয়েছেন শিলিগুড়ির রিচা।
তিতাস ও হৃষিতাকে স্বাগত জানাতে কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি)-এর সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। দু’জনেই তিতাসদের সংবর্ধনা জানান। উপস্থিত ছিলেন বাংলার ক্রিকেট সংস্থার অন্য কর্তারাও। বিশ্বজয়ীদের দেখার জন্য বিমানবন্দরে ভিড় জমেছিল। এক বার তাঁদের সঙ্গে হাত মেলাতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামলান ক্রীড়ামন্ত্রী নিজেই।
সিএবি সভাপতি স্নেহাশিসের সঙ্গে তিতাস ও হৃষিতা —নিজস্ব চিত্র
তিন বাঙালি কন্যাকে সংবর্ধনা দেবে সিএবি। স্নেহাশিস জানিয়েছেন, তিন জনকে ১০ লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। বিশ্বজয়ী দলের তিন বাঙালি ক্রিকেটারকে নিয়ে গর্বিত সিএবি। স্নেহাশিষ বলেছেন, ‘‘মেয়েরা আমাদের গর্বিত করেছে। আমরা ওদের পুরস্কৃত করার সুযোগ পেয়ে খুশি। রিচা, তিতাস এবং হৃষিতাকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। ওদের সকলকে অভিনন্দন এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’ দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত মহিলাদের প্রথম অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বাংলার তিন প্রতিনিধির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন জোরে বোলার তিতাস।
বুধবার আমদাবাদে শেফালি বর্মার দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরুর আগে শেফালিদের হাতে ৫ কোটি টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় বোর্ডের পক্ষ থেকে। বিশ্বজয়ীদের উৎসাহিত করেন সচিন তেন্ডুলকর। পরে সচিনের সামনে বসে হার্দিক পাণ্ড্যদের সিরিজ় জয়ের সাক্ষী থাকেন রিচারা।