সাধারণত মাথা ঠান্ডা থাকলেও এক বার খুব রেগে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সাজঘরে সতীর্থদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। ফাইল চিত্র
সতীর্থরা বলেন, তাঁর মাথা বরফের মতো ঠান্ডা। মাঠে পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেন, মাথা গরম করেন না মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালীন ধোনির ঠান্ডা মাথা ভারতকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে। এ হেন ধোনিও নাকি রেগে গিয়েছিলেন। সাজঘরে ক্রিকেটারদের হুমকি দিয়েছিলেন। সাজঘরের সেই গোপন কথা এ বার সামনে এল।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর তাঁর আত্মজীবনীতে ধোনির সেই গোপন কথা প্রকেশ্যে এনেছেন। ২০১৪ সালের একটি ম্যাচের কথা বলেছেন তিনি। শ্রীধর বলেছেন, ‘‘২০১৪ সালে ফিরোজ শাহ কোটলাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে জিতেছিলাম আমরা। কিন্তু ফিল্ডিং খুব খারাপ হয়েছিল। সেটা চটিয়ে দিয়েছিল ধোনিকে। ম্যাচ শেষে সাজঘরে সবার ক্লাস নিয়েছিল ধোনি।’’
সাজঘরে ধোনি কী বলেছিলেন সে কথাও লিখেছেন শ্রীধর। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ানের মতো দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থেকে শুরু করে তরুণ সদস্য, কাউকে রেয়াত করেননি মাহি। শ্রীধরের কথায়, ‘‘ধোনি বলেছিল, আমরা আমাদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। আমরা হয়তো জিতেছি। কিন্তু হেরে যেতেও পারতাম। যদি ফিল্ডিং ও ফিটনেসের মান না বাড়ে তা হলে বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়া যাবে না। সে যত বড় নামই হোক না কেন। নিজের যোগ্যতা আগে প্রমাণ করতে হবে।’’
শ্রীধর জানিয়েছেন, ধোনিকে মাথা গরম করতে দেখে সাজঘরে থাকা ক্রিকেটাররা চমকে গিয়েছিলেন। তবে ধোনির কথা খুব গুরুত্ব দিয়ে শুনেছিলেন তাঁরা। তার ফল পরের কিছু সিরিজে পেয়েছিল ভারত।
ফিরোজ শাহ কোটলাতে সে দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৬৩ রান করেছিল ভারত। ৪০ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ধোনি। পরে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় ২ উইকেটে ১৭০ রান ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের। তার পরের ৮ উইকেট ৪৫ রানে হারিয়েছিল তারা। কিন্তু দলের ফিল্ডিংয়ে খুশি হননি ধোনি। তাই রেগে গিয়েছিলেন তিনি।