অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯ দল। ছবি: আইসিসি।
ভারতের মতো ভাল ফর্মে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯ দলও। উদয় সাহারানদের মতোই টানা জিতে ফাইনালে উঠেছে হাগ ওয়েবজেনের দলও। ছোটদের বিশ্বকাপের ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশায় রয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। খেতাব ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী গত বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতও। তবে অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
হ্যারি ডিক্সন: ১৮ বছরের অস্ট্রেলীয় ওপেনার বেশ ভাল ফর্মে রয়েছেন। বিশ্বকাপে এখনও শতরান না পেলেও প্রতি ম্যাচেই দলকে ভাল শুরু দিচ্ছেন। ধারাবাহিক ভাবে রান করছেন ডিক্সন। তিনটি অর্ধশতরান করেছেন প্রতিযোগিতায়। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ৫০ রান করেছেন। আত্মবিশ্বাসী অসি ওপেনারকে দ্রুত আউট করতে না পারলে ফাইনালে সমস্যায় পড়তে পারেন উদয়রা। বাঁহাতি ওপেনার অফ স্পিন বল করতে পারেন। সুতরাং ডিক্সনকে নিয়ে সতর্ক থাকতেই হবে ভারতীয় শিবিরকে।
টম স্ট্রেকার: অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের অন্যতম সম্ভাবনাময় জোরে বোলার স্ট্রেকার। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ফর্মে রয়েছেন। তাঁর বল খেলতে সমস্যায় পড়েছেন সব দলের ব্যাটারেরাই। প্রতি ম্যাচে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট পাচ্ছেন। প্রতিযোগিতায় নিজের সেরা বোলিং করেছেন সেমিফাইনালে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ২৪ রান খরচ করে। হাতে রয়েছে ভাল আউট সুইং। বলের গতির হেরফের করতে পারেন বুদ্ধি করে। প্রথম পরিবর্ত বোলার হিসাবে তাঁকে ব্যবহার করে অসি শিবির। মাঝের ওভারগুলিতে উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষের ইনিংসকে ধাক্কা দিতে পারেন। ১২টি উইকেট নিয়েছেন প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত। বিশ্বকাপ জিততে হলে হৃষিকেশ কানিতকরের দলকে স্ট্রেকারের বল সাবধানে খেলতেই হবে।
ক্যালাম ভিডলার: অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ শুরু করেন ভিডলার। ১৮ বছরের তরুণের বলের গতি বেশ ভাল। নিয়মিত উইকেট পাচ্ছেন ছোটদের বিশ্বকাপে। প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত ১২টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষকে ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দিতে পারেন উইকেট তুলে নিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে উইকেট পাননি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পেয়েছেন ১টি উইকেট। ফাইনালে নিজেকে উজাড় করে দিতে মরিয়া থাকবেন তিনি। ভারতকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন ভিডলারও।