Centre of Excellence

এক ছাদের তলায় আধুনিক সব ব্যবস্থা, যাত্রা শুরু ভারতীয় বোর্ডের ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’-এর

এত দিন বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চলত জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কাজ। সারা বছর বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক শিবির চালাতে সমস্যায় পড়তে হত বিসিসিআইকে। সেই সমস্যা আর থাকবে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২০
Share:

ভারতীয় বোর্ডের নতুন সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ছবি: এক্স (টুইটার)।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’র যাত্রা শুরু হল। বেঙ্গালুরুর এই নতুন কেন্দ্রে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির থেকেও অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সম্প্রতি নতুন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি রজার বিন্নী এবং সচিব জয় শাহ।

Advertisement

কী আছের থেকেও বলা সহজ কী নেই বিসিসিআইয়ের নতুন সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে। অনুশীলন বা ম্যাচের জন্য রয়েছে তিনটি মাঠ। সব চেয়ে বড় মাঠের পিচ থেকে সব দিকে বাউন্ডারির দূরত্ব কমপক্ষে ৮৫ গজ। রয়েছে ক্রিকেটের বিভিন্ন চরিত্রের পিচ। আছে রাতে অনুশীলন বা খেলার জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা।। আউটডোর এবং ইন্ডোর মিলিয়ে ৮৬ রকমের সুবিধা রয়েছে। অত্যাধুনিক জিম, স্পোর্টস সায়েন্স মেডিসিন ল্যাব — সব কিছু রয়েছে এক ছাদের তলায়। সুইমিং পুল, দৌড়নোর জন্য ৫০ মিটারের ট্র্যাক, যোগাসনের ব্যবস্থা সবই আছে। বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে ৪০ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন এই কেন্দ্র। আগামী জানুয়ারি থেকে পুরো দমে কাজ শুরু হবে। জিমের কিছু জিনিস এখনও ভারতে এসে পৌঁছায়নি। ইতালি থেকে আনা হচ্ছে সেগুলি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু হয়েছিল ১৬,২০০ বর্গফুটের নতুন এই কেন্দ্রের।

সব চেয়ে বড় মাঠটিতে রয়েছে ১৩টি পিচ। মুম্বই থেকে লাল মাটি নিয়ে এসে তৈরি করা হয়েছে পিচগুলি। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার পিচের কথা মাথায় রেখে এগুলি তৈরি করা হয়েছে। মাঠের সঙ্গে রয়েছে দু’টি সাজঘর, ফিজিয়ো রুম, জ়াকুজি রুম, মাসাজ রুম। দ্বিতীয় বৃহত্তম মাঠটিতে রয়েছে ১১টি পিচ। স্থানীয় লাল এবং কালো মাটি মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে। পিচ থেকে সব দিকের বাউন্ডারির দূরত্ব অন্তত ৭৫ গজ। ভারতের মাঠগুলির কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। তৃতীয় মাঠে রয়েছে ৯টি পিচ। ওড়িশার কালাহান্ডির কালো মাটি দিতে তৈরি করা হয়েছে। রাখা রয়েছে পর্যাপ্ত ঘাস। ইংল্যান্ড এবং নিউ জ়িল্যান্ডের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে পিচগুলি।

Advertisement

এত দিন বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের চত্বরে চলত জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কাজ। সারা বছর বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক শিবির চালাতে নানা সমস্যায় পড়তে হত বিসিসিআইকে। সেন্টার অফ এক্সেলেন্স তৈরি হয়ে যাওয়ায় আর সেই সমস্যা থাকবে না। এখন সারা বছর বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক শিবিরগুলি অনেক বেশি ক্রিকেটারকে নিয়ে আয়োজন করা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement