মিচেল স্টার্ক। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের মূল নিলাম এড়িয়ে ছোট নিলামে অংশ নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের একাংশের মধ্যে। বেশি টাকা পাওয়ার আশায় এই কৌশল নিয়ে থাকেন তাঁরা। এই প্রবণতা বন্ধ করতে এ বার নতুন নিয়ম করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মিচেল স্টার্কের মতো বিপুল টাকা রোজগারের পথ বন্ধ করা হয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে।
বিদেশি ক্রিকেটারদের একাংশের এই প্রবণতা বন্ধ করতে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে অনুরোধ করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি। সে জন্য আনা হয়েছে নতুন নিয়ম। সেই নিয়মে বলা হয়েছে, যে বিদেশি ক্রিকেটারেরা এ বারের মূল নিলামে নাম নথিবদ্ধ করাবেন না, তাঁরা পরের বছরের নিলামেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। ফলে থাকবে না খেলার সুযোগও।
শুধু তাই নয়। ছোট নিলামে এক জন বিদেশি ক্রিকেটার সর্বোচ্চ কত টাকা পাবেন, তাও ঠিক করে দিয়েছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি সর্বোচ্চ ১৮ কোটি টাকা দিয়ে এক জন ক্রিকেটারকে এ বার ধরে রাখতে পারবে। এই ১৮ কোটি টাকা এবং এ বার পূর্ণ নিলামে সব চেয়ে দামি ক্রিকেটারের দাম দেখা হবে। এই দু’টির মধ্যে যেটা কম হবে সর্বোচ্চ সেই পরিমাণ টাকা এক বিদেশি ক্রিকেটার পাবেন ছোট নিলামে। যদিও তাঁর দর উঠার ক্ষেত্রে বাধা নেই। তবে অতিরিক্ত টাকা যাবে বিসিসিআইয়ে তহবিলে। অর্থাৎ এ বার নিলামে কোনও ক্রিকেটার ১৮ কোটি টাকার বেশি দামে বিক্রি হলে, পরের বছর ছোট নিলামে কোনও বিদেশি ক্রিকেটারই ১৮ কোটি টাকার বেশি পাবেন না। ছোট নিলাম থেকে স্টার্কের মতো ২৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আয়ের সুযোগ আর থাকছে না।
এ বার ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ছ’জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সুযোগ পাবে। সর্বোচ্চ পাঁচ জন ক্রিকেটারকে নিলামের আগেই ধরে রাখা যাবে বা রিটেন করা যাবে। নিলামের সময় ‘রাইট টু ম্যাচ’ নিয়ম ব্যবহার করে আরও এক জনকে রেখে দেওয়ার সুযোগ থাকবে। কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি চার জন ক্রিকেটারকে রিটেন করলে, নিলামের সময় দু’জনের ক্ষেত্রে ‘রাইট টু ম্যাচ’ নিয়ম ব্যবহার করতে পারবে।