রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে কোহলির কাছে চলে যান এই ব্যক্তি। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপ ফাইনালে বিরাট কোহলি ব্যাট করার সময় মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। রাজনৈতিক বার্তা লেখা জার্সি এবং মুখে প্যালেস্তাইনের পতাকা আঁকা মাস্ক পরে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। কোহলির একদম কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। এটাই প্রথম বার নয়। অস্ট্রেলিয়ায় মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালেও মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন একই ব্যক্তি। তিনি যে যুদ্ধবিরোধী সংগঠনের সদস্য, তারাই এই দাবি করেছে সমাজমাধ্যমে। তাঁর নাম ওয়েন জনসন।
প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলি হামলা বন্ধের প্রতিবাদ জানাতে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালকে বেছে নিয়েছেন প্রতিবাদী জনসন। এর আগে মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালকে তিনি বেছে নিয়েছিলেন। সে বার ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীদের তৎপরতায় কোনও ফুটবলারের ক্ষতি অবশ্য তিনি করতে পারেননি। যেমন রবিবারও জনসনকে দ্রুত মাঠের বাইরে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। এই ঘটনায় বিশ্বকাপ ফাইনালের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি আমদাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে।
এ বারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে মাঠে অবাঞ্ছিত লোক ঢুকে পড়ার ঘটনা রবিবারই প্রথম ঘটেনি। আগে আরও দু’টি ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভারতের প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ে খেলার আগে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন এক ব্রিটিশ নাগরিক। ভারতের জার্সি গায়ে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন কোহলির দিকে। নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে এসে ওই সমর্থককে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ইডেন গার্ডেন্সে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস চলাকালীন মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। হাই কোর্ট প্রান্তের ৭ নম্বর গেটের ‘ডি’ ব্লক গ্যালারি থেকে ওই সমর্থক সোজা ছুটে যান পয়েন্ট অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা ডেভিড মিলারের দিকে। পকেট থেকে ফোন বার করে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারের সঙ্গে নিজস্বী তোলেন। আরও এক ক্রিকেটারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তার আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা এগিয়ে আসেন। র্যাফ এসে সরিয়ে নিয়ে যায় ওই সমর্থককে।
তবে রবিবারের ঘটনা নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। কারণ ঘটনার সময় স্টেডিয়ামে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। তাই শনিবার থেকেই গোটা স্টেডিয়াম চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। তা-ও কী ভাবে ওই ব্যক্তি ভারতের ইনিংসের সময় মাঠে ঢুকে পড়েন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।