ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দাপটে কমবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আশঙ্কা স্ট্রসের। ছবি: টুইটার।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটই ভবিষ্যৎ। মেনে নেওয়া উচিত এই পরিবর্তন। এমনই মনে করছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রস। ২০ ওভারের ক্রিকেটের রমরমা বাড়লেও টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি আশাবাদী।
কিছু দিন আগেই এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বেন স্টোকস। এক দিনের ক্রিকেট খেলতে চান না বলে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। এক দিনের ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ হারাচ্ছেন একের পর এক ক্রিকেটার। একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটারও এক দিনের ক্রিকেট বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে। স্ট্রসও মনে করছেন, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টির মাঝে এক দিনের ক্রিকেটের কোনও জায়গা নেই।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশে টেস্ট ক্রিকেটের এখনও কিছু জনপ্রিয়তা রয়েছে। জানি অনেক দেশেই টেস্ট আয়োজন করে খরচ ওঠে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এসে যাওয়ার পর অনেকেই শুধু ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলতে চাইছে। আমার মনে হয়, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট পাশাপাশি স্বচ্ছন্দে চলতে পারে।’’
স্ট্রস এখন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান। তাঁর মতে, দু’ধরনের ক্রিকেট সমান ভাবে চালাতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসকদের। স্ট্রস বলেছেন, ‘‘ক্রীড়াসূচি এমন ভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে ক্রিকেটাররা টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে সমস্যায় না পড়ে।’’ আগামী দিনে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আরও বাড়বে, মনে করেন স্ট্রস। তাঁর দাবি এই পরিবর্তনটা মেনে নিতে হবে।
এক দিনের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী নন স্ট্রস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিষ্যৎ নিয়েও আশঙ্কা উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘অনেক ক্রিকেটার বছরের ১২ মাসই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমন চললে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কমে যাবে। ক্রিকেটাররা তো সুযোগ কাজে লাগাতে চাইবেই। ওরা নিজেদের ভাল বেছে নিতেই পারে। কী ভাবে আটকাবেন ওদের?’’ স্ট্রস আরও বলেছেন, ‘‘ঘরোয়া ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। যাতে ক্রিকেটাররা শুধুই সাদা বলের ক্রিকেটের দিকে না ছোটে।’’ টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অবশ্য আশঙ্কিত নন। স্ট্রস বলেছেন, ‘‘এখনও বহু ক্রিকেটার নিজেকে টেস্টে ক্রিকেটে প্রমাণ করতে চায়। নিজেদের সেরাটা টেস্টে তুলে ধরতে চায়।’’