বিরাট কোহলী। ফাইল ছবি
সময় চলে যাচ্ছে। পরিকল্পনার অনেক কিছুই বাকি। ফলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তেমন কিছু করার নেই। বিরাট কোহলীদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর স্থগিত হয়ে যেতে পারে। এমনকী দল নির্বাচনী বৈঠকও বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর তেমনই।
আপাতত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে, তিন টেস্টের সিরিজ কমিয়ে দুই টেস্টের করা যায় কি না। সেক্ষেত্রে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে কিছুটা বাড়তি সময় পাবে।
ক্রিকেটাররাই না কি এই সফরের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন। এমনিতেই পরপর ক্রিকেট চলছে। তার উপর যাবতীয় খেলা হচ্ছে জৈব দুর্গে। এই অবস্থায় ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২৬ জানুয়ারি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোহলীরা তিনটি টেস্ট, তিনটি একদিনের ম্যাচ ও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে চাইছেন না।
গত দু’ সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন থাবা বসিয়েছে। এই খবর আসা মাত্র ভারতীয় দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মূলত রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমার, মহম্মদ শামি, ঋষভ পন্থ, লোকেশ রাহুল এবং শার্দূল ঠাকুর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। যদিও দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড বার বার আশা প্রকাশ করেছে যে, সিরিজ নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে।
এর মধ্যেই ভারতীয় বোর্ড ক্রিকেটারদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবে বলে ঠিক করেছিল। কিন্তু বোর্ড আপাতত তা করছে না। এর মূল কারণ, এখনও সরকারের থেকে এই সফরের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যায়নি। যেকোনও সফরের আগে সবার আগে এটি প্রয়োজন।
দ্বিতীয় একটি কারণের কথাও শোনা যাচ্ছে। ভারতীয় বোর্ড ঠিক করেছিল, ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাদা করে বসবে। কিন্তু সময়ের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। বোর্ড কর্তারা সবাই ৪ ডিসেম্বর কলকাতায় বার্ষিক সাধারণ সভা নিয়ে ব্যস্ত। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকও আছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের দ্বিতীয় টেস্টও শুরু হয়ে যাচ্ছে শুক্রবার থেকে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুর টেস্টের পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ভারতীয় দল নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু বোর্ড সেই দল নির্বাচনী বৈঠক স্থগিত করে দিয়েছে।