হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
আগামী রবিবার বিশ্বকাপে ভারতের সামনে নিউ জ়িল্যান্ড। ধর্মশালায় হবে ম্যাচ। গত বারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এই নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল ভারত। এ বার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ রোহিত শর্মাদের সামনে। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারত পাবে না হার্দিক পাণ্ড্যকে। চোটে ছিটকে গিয়েছেন তিনি। কে আসতে পারেন প্রথম একাদশে? বাড়তি বোলার না বাড়তি ব্যাটার? প্রথম একাদশ বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
রোহিত শর্মা: তিনি দলের অধিনায়ক। তার উপর যে ছন্দে রয়েছেন তাতে কেউই বাদ দেওয়ার কথা ভাববেন না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ০ করার পর থেকে থামানো যাচ্ছে না রোহিতকে। একটি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান হয়ে গিয়েছে। আগেই ম্যাচেও ৪৮ করেছেন।
শুভমন গিল: ডেঙ্গি সারিয়ে ফেরার পরেও শুভমন কোনও অস্বস্তিতে নেই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেছেন। নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন দলে। প্রথম বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে জুড়ি নেই। ওপেনিংয়ে রোহিতের সঙ্গেই নামবেন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিরাট কোহলি: এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম শতরান এসেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। কোহলি চাইবেন নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর একটি তিন অঙ্কের রান। তা হলেই ছুঁয়ে ফেলতে পারবেন সচিনকে।
শ্রেয়স আয়ার: একটি অর্ধশতরান বাদে বলার মতো কিছু নেই। কিন্তু বিশ্বকাপে চার নম্বর স্থানে তাঁকে ছাড়া কাউকে ভাবা যাবে না। বিপদের সময় তিনি একটা দিক ধরে রাখতে পারেন। ফলে উপকার পেতে পারে ভারত।
কেএল রাহুল: মিডল অর্ডারে নির্ভরযোগ্য নাম। আগের ম্যাচে কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন। তার আগে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে অল্পের জন্যে শতরান পাননি। তা ছাড়া, এ বারের বিশ্বকাপে এখনও আউট করা যায়নি তাঁকে।
সূর্যকুমার যাদব: বিশ্বকাপে এখনও সুযোগ পাননি। হার্দিক পাণ্ড্যের অপ্রত্যাশিত চোট তাঁর সামনে সেই সুযোগ এনে দিতে পারে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ঈশান কিশনের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকলেও অতিরিক্ত ব্যাটার রাখার তাগিদে শিকে ছিঁড়তে পারে সূর্যেরই।
রবীন্দ্র জাডেজা: অলরাউন্ডার হিসাবে তাঁর জায়গাও পাকা। হয় বলে, না হয় ব্যাটে, তাতেও কিছু না হলে ফিল্ডিংয়ে। যে ভূমিকাই দেওয়া হোক জাডেজা নিপুণ ভাবে তা সামলাতে অভ্যস্ত।
যশপ্রীত বুমরা: বড় চোট সারিয়ে ফিরেও একই রকম ক্ষিপ্র লাগছে বুমরাকে। আগের ম্যাচেও ভাল বল করেছেন। পাওয়ার প্লে-তে আরও ধারালো হতে হবে তাঁকে। বিশ্বকাপে উইকেটশিকারীদের তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছেন।
মহম্মদ সিরাজ: গত দু’টি ম্যাচে বেশ মার খেয়েছেন। অনেক রান হজম করেছেন। নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচে সেটা করলে চলবে না। উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রান খরচ করার দিকটাও সিরাজকে নজর দিতে হবে।
কুলদীপ যাদব: নিজেকে ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন। জুটি ভাঙার কাজে পারদর্শী। বলে বৈচিত্র এসেছে। ফলে তিনিও থাকছেন প্রথম একাদশে।
মহম্মদ শামি: বিশ্বকাপে তাঁকে না খেলানো নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু ধর্মশালার পেস সহায়ক পিচে অতিরিক্ত বোলার হিসাবে তাঁকে খেলাতে পারে ভারত। বিশ্বকাপে শামি নিজেকে প্রমাণ করতে নিঃসন্দেহে মরিয়া থাকবেন।