রাহুল দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দলে ব্যাটার কম পড়েছে বলে মনে করছেন রাহুল দ্রাবিড়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ২-৩ ব্যবধানে হেরে এই কথাই মনে হচ্ছে ভারতীয় দলের কোচের। ক্যারবিয়ান সফরে সাত নম্বরে অক্ষর পটেলকে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে। তার পর বাকি চার জনই ব্যাট হাতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ নন।
রবিবার সিরিজ় ফয়সালার ম্যাচে ভারত আট উইকেটে হেরে যায়। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১৬৫ রান তোলে। দু’ওভার বাকি থাকতেই সেই রান তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। দ্রাবিড় বলেন, “যে দল নিয়ে আমরা এখানে খেলতে এসেছি, তাতে প্রথম একাদশে খুব বেশি পরিবর্তন করা সম্ভব ছিল না। আগামী দিনে আমাদের বেশ কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমাদের ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতে হবে। সেই দিকে নজর দিতে হবে। আমরা সেটা করার চেষ্টা করছি। তাই বলে বোলিংকে দুর্বল করে দিতে চাই না।”
উল্টো দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় দলে ১১ জনই ব্যাট করতে পারেন। দলে একাধিক বোলিং অলরাউন্ডার। দ্রাবিড় বলেন, “আমরা এমন একটা দলের বিরুদ্ধে খেলছিলাম, যাদের ১১ নম্বরে আলজারি জোসেফের মতো অলরাউন্ডার ব্যাট করতে নামে। ভাল বলকে মারার ক্ষমতা রাখে ও। তাই আমাদের সামনে কঠিন লড়াই ছিল। দলের এই জায়গাটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এই সিরিজ় সেটা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।”
ভারতের হয়ে এই সিরিজ়ে তিলক বর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল এবং মুকেশ কুমারের অভিষেক হল। তাঁদের সকলকে নিয়েই উচ্ছ্বসিত দ্রাবিড়। তিনি বলেন, “এই সিরিজ়ে তিন জনের অভিষেক হয়। তাঁরা সকলেই ভাল খেলেছে। চতুর্থ ম্যাচে যশস্বী খুব ভাল খেলেছে। আইপিএলে ও যেমন খেলে, দেশের হয়েও যে সেই খেলাটা খেলতে পারে তা দেখিয়ে দিল যশস্বী। মিডল অর্ডারে তিলক দুর্দান্ত। কঠিন সময়ে ব্যাট করতে হয়েছে ওকে। প্রতি বার নিজেকে প্রমাণ করেছে ও। খুব ইতিবাচক খেলেছে তিলক। খুব ভাল ফিল্ডিংও করেছে ও। তিলকের মতো এক জন বাঁহাতিকে মিডল অর্ডারে পাওয়া আমাদের জন্য খুবই ভাল দিক।”
টি-টোয়েন্টির আগে টেস্ট এবং এক দিনের ম্যাচে অভিষেক হয় মুকেশের। বাংলার বোলার সম্পর্কে দ্রাবিড় বলেন, “ভারতের হয়ে সব ধরনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে মুকেশের। ডেথ ওভারে বল করার ক্ষমতা রয়েছে ওর। এমন সময় মুকেশ বল করেছে, যখন ক্রিজে বড় শট খেলার মতো ব্যাটার রয়েছে। চতুর্থ বা পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নেমে মুকেশ যে পরিণত বোধ দেখিয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। আগামী দিনে আশা করি তিলক, মুকেশেরা আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবে।”