সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
তাঁর হাতে তরুণ একটি দল দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেও অধিনায়ক হিসাবে নতুন। কিন্তু ধারাভাষ্যকার মুরলী কার্তিকের কথায়, “সূর্যকুমার যাদব রবিবার যে জিনিসেই হাত দিয়েছেন, সেটাই শোনা হয়ে গিয়েছে।” সত্যজিৎ রায়ের পরশপাথর সিনেমাটি কার্তিক হয়তো দেখেননি, তবে তিনি খুব ভুল কিছু বলেননি। মায়াঙ্ক যাদব, বরুণ চক্রবর্তীদের নিয়েই সোনা ফলালেন সূর্য। আগামী দিনে এই দলকে পুড়িয়ে আরও খাঁটি করার লক্ষ্য রয়েছে অধিনায়কের। কিন্তু বাংলাদেশ কি সেই আগুন হতে পারবে?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে নেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং রবীন্দ্র জাডেজা। টি-টোয়েন্টি দলে নেই কিছু দিন আগে টেস্ট খেলা সিনিয়র ক্রিকেটারেরাও। রবিবার ভারতের যে দল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলল, সেই দলের অভিজ্ঞতম বোলার আরশদীপ সিংহ। তাতেই বোঝা যাচ্ছে বাকি বোলারদের অভিজ্ঞতা কতটা। কিন্তু সেই বোলিং আক্রমণ নিয়ে খেলতে নেমে ম্যাচ জিতে অধিনায়ক সূর্যকুমার বলেন, “ফিল্ডিং করার সময় হাতে যদি প্রচুর বিকল্প থাকে, তাহলে ভাল। কাকে ছেড়ে কাকে বল করাবো, এই মাথা ব্যথাও ভাল।”
রবিবার ভারতের হয়ে বোলিং শুরু করেন আরশদীপ এবং হার্দিক পাণ্ড্য। এর পর একে একে বল করতে এলেন বরুণ চক্রবর্তী, মায়াঙ্ক যাদব, নীতীশ কুমার রেড্ডি এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। নীতীশ বাদে বাকি সকলেই উইকেট নেন। আরশদীপ এবং বরুণ নেন তিনটি করে উইকেট। বাকিরা একটি করে। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে মায়াঙ্ক নজর কাড়লেন। তাঁর সঙ্গেই এই ম্যাচে অভিষেক হয় নীতীশের। সূর্য বলেন, “খুবই ভাল লাগছে দুই অভিষেককারীকে দেখে। আগামী ম্যাচেও ওদের দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।”
ব্যাটিংয়েও দিনটা খারাপ যায়নি ভারতের। ওপেনার অভিষেক শর্মা ঝোড়ো ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। দুর্ভাগ্য তিনি রান আউট হয়ে যান। সূর্যকুমার (১৪ বলে ২৯ রান) এবং হার্দিক পাণ্ড্য (১৬ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত) ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। তাঁদের সাহায্য করেন সঞ্জু স্যামসন (১৯ বলে ২৯ রান) এবং নীতীশ (১৫ বলে ১৬ রানে অপরাজিত)। তবুও সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট নন সূর্য। তিনি বলেন, “সব ম্যাচ থেকেই নতুন কিছু শেখার আছে। কিছু জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন। সেগুলো নিয়ে কথা হবে। আগামী ম্যাচের আগে সেই সব দিকগুলো উন্নতি করতে চাইব।”
রবিবার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ১২৭ রানে অলআউট করে দেয় ভারত। তিন উইকেট হারিয়ে ৪৯ বল বাকি থাকতে জয়ের রান তুলে নেন হার্দিকেরা।