যশস্বী জয়সওয়াল। ছবি: পিটিআই।
আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল ভারত। ইনদওরে জিতে সিরিজ় পকেটে রোহিত শর্মাদের। প্রথমে ব্যাট করে ১৮২ তুলেছিল আফগানিস্তান। ২৬ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিল ভারত। এই ম্যাচেও অর্ধশতরান করলেন শিবম দুবে।
দর্শকেরা এসেছিলেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন দেখতে। কিন্তু প্রথম জন প্রথম বলে আড়াআড়ি ব্যাট চালিয়ে বোল্ড হলেন। দ্বিতীয় জন ভাল শুরু করেও ক্যাচ তুলে দেন নবীন উল হকের বলে। ১৬ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে যান বিরাট। তাঁরা জেতাতে না পারলেও যশস্বী জয়সওয়াল এবং শিবম ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন। তরুণদের ব্যাটিং সাজঘরে বসে দেখলেন রোহিত এবং বিরাট।
আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি যশস্বী। তাঁর পায়ে টান লেগেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে বুঝিয়ে দিলেন কেন টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসাবে তিনিই রাহুল দ্রাবিড়ের প্রথম পছন্দ। ৩৪ বলে ৬৮ রান করলেন যশস্বী। ছ'টি ছক্কা মারলেন তিনি। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারলেন।
শিবম আগের ম্যাচে ৬০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দলকে জিতিয়েছিলেন। এই ম্যাচে ৩২ বলে ৬৩ রান করলেন শিবম। অপরাজিত রইলেন এই ম্যাচেও। সঙ্গে রইলেন রিঙ্কু সিংহ। তিনি ৯ রানে অপরাজিত রইলেন। পর পর দু'ম্যাচে জিতে সিরিজ় জিতে নিল ভারত।
আফগানিস্তানের হয়ে সব থেকে বেশি রান করলেন গুলবাদিন নইব। ৩৫ বলে ৫৭ রান করলেন তিনি। শেষ বেলায় মুজিব উর রহমান ৯ বলে ২১ এবং করিম জনত ১০ বলে ২০ রান করে আফগানিস্তানকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন। দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লা গুরবাজ (১৪) এবং ইব্রাহিম জাদরান (৯) খুব বেশি রান করতে পারেননি। মিডল অর্ডারে আজমতুল্লা ওমরজাই, মহম্মদ নবি, নাজিবুল্লা জাদরানেরাও দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হন।
ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন আরশদীপ। তিনি শেষ ওভারে ২ উইকেট নেন। আফগানিস্তানের রান না হলে আরও বাড়তে পারত। বাংলার পেসার মুকেশ কুমার এই ম্যাচে উইকেট পাননি। তিনি ২ ওভারে ২১ রান দেওয়ায় ডেথ ওভারে তাঁকে বল দেননি রোহিত। সেই জায়গায় বল করেন শিবম দুবে। তিনি ৩ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে ২০ রান দেন শিবম। ডেথ ওভারে তাঁকে বল দেওয়া ঠিক হল কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। রবি বিষ্ণোই এবং অক্ষর পটেল এই ম্যাচে দু'টি করে উইকেট নিয়েছেন।