যশস্বী জয়সওয়াল। —ফাইল চিত্র।
ফোনটা পেয়ে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বছর ২১-এর তরুণ। সত্যিই তিনি ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন! এ এক স্বপ্নপূরণ। যে স্বপ্ন দেখে একটা পরিবার উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে মুম্বই চলে এসেছিল। সেই স্বপ্ন আজ সত্যি হল। যশস্বী জয়সওয়াল ভারতের টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন। যে খবর শুনে কেঁদেই ফেললেন তাঁর বাবা। এত দিনের সব কষ্ট এখন আনন্দ হয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময়ই নজর কেড়েছিলেন যশস্বী। তিনি যে এক দিন ভারতীয় দলে সুযোগ পাবেন, এই বিশ্বাস অনেকের মধ্যেই ছিল। ধারাবাহিকতা তাঁকে সেই সুযোগ এনে দিল। শুক্রবার দুপুরে খবরটা পেয়ে প্রথমে বুঝতে পারছিলেন না কী করবেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, “বাবা জানতে পেরে কেঁদে ফেলে। মায়ের সঙ্গে এখনও দেখা হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাব। সকাল থেকে বাইরে ছিলাম। অনুশীলনে গিয়েছিলাম, তার পর কিছু কাজ ছিল।”
জন্ম উত্তরপ্রদেশে। কর্ম মুম্বইয়ে। সেই বিখ্যাত আজ়াদ ময়দানে। এই মাঠ থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে উঠে এসেছেন সচিন তেন্ডুলকর, বিনোদ কাম্বলির মতো ক্রিকেটারেরা। স্কুল ক্রিকেটে সচিন এবং কাম্বলির ৬৬৪ রানের জুটি হয়েছিল এই ময়দানেই। সেখানেই ক্রিকেট শেখা শুরু করেছিলেন যশস্বী। জানালেন কয়েক দিন পরেই জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যেতে হবে। সেখানেই শুরু হবে ক্যারিবিয়ান সফরে যাওয়ার প্রস্তুতি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের রিজার্ভ দলে থাকা যশস্বী কিছু দিন আগেই মুম্বইয়ে ফেরেন তিনি। আইপিএলে একের পর এক শতরান করে সেই সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার সময় খবর পান ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। যশস্বী বলেন, “ভাল লাগছে। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। খুব উত্তেজিত আমি। সেই সঙ্গে চাই মাঠে নেমে নিজেকে উজাড় করে দিতে।”
সুযোগ যে আসবে তা আন্দাজ করেছিলেন যশস্বী। তাই ভারতীয় দল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত একটা চাপ কাজ করছিল তাঁর মধ্যে। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা যশস্বী বলেন, “একটা চাপ কাজ করছিল নিজের মধ্যে। যত ক্ষণ না নামটা বোর্ডের তালিকায় দেখছি, তত ক্ষণ এটা ছিল। এখন ভাল লাগছে।”
দেশের হয়ে খেলার সুযোগ এসেছে। এ বার সেটা ধরেও রাখতে হবে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখছেন যশস্বী। তিনি বলেন, “খুব ভাল প্রস্তুতি নিচ্ছি। সিনিয়রদের সঙ্গে কথাও হয় আমার। সকলেই বলে নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকতে। তাদের থেকে শিখেছি যে, আমি কী ভাবে খেলছি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।”