Ashes 2023

সাদারল্যান্ডের শতরানের পাল্টা জবাব বিউমন্টের, মহিলাদের অ্যাশেজে জমে গেল দ্বিতীয় দিনের লড়াই

মহিলাদের অ্যাশেজে প্রথম ইনিংসে বড় রান তুলল অস্ট্রেলিয়া। ৪৭৩ রানে শেষ হল তাদের ইনিংস। অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড শতরান করলেন। পাল্টা ইংল্যান্ডের হয়ে নেমে শতরান করলেন ট্যামি বিউমন্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৩ ২৩:১১
Share:

শতরানের পর অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। ছবি: রয়টার্স

মহিলাদের অ্যাশেজে দ্বিতীয় দিনেই লড়াই জমে গেল। অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের শতরানের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে বড় রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে ইংল্যান্ডও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তারাও পাল্টা লড়াই দিচ্ছে। সৌজন্যে ট্যামি বিউমন্ট। ইংল্যান্ডের হয়ে শতরান করলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ২১৮-২। তারা পিছিয়ে ২৫৫ রানে। ক্রিজে বিউমন্ট ১০০ এবং ন্যাট শিভার ব্রান্ট ৪১ রানে।

Advertisement

শুক্রবার ৩২৮-৭ স্কোর নিয়ে খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। অষ্টম উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়েন সাদারল্যান্ড এবং অ্যালানা কিং। সকাল থেকেই আকাশে রোদ ছিল। তাই ইংরেজ বোলাররা সে ভাবে পিচের সুবিধা পাননি। দুই অজি ব্যাটার তার পুরোপুরি ফায়দা তোলেন। কিং মূলত স্পিনার হলেও ব্যাট হাতে কার্যকরী ভূমিকা নেন। তিনি একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। উল্টো দিকে রান করে যাচ্ছিলেন সাদারল্যান্ড।

ব্যক্তিগত ২১ রানের মাথায় কিং ফিরলেও অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি আটকায়নি। নবম ব্যাটার কিম গার্থও একই ভূমিকা নেন। ইংরেজ বোলারদের উপর চাপ দিয়ে আগ্রাসী খেলা চালিয়ে যান সাদারল্যান্ড। শতরানও করে ফেলেন তিনি। গার্থ ২২ রানে ফেরার পর বেশি ক্ষণ ইনিংস টানতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। পরের ব্যাটার ডার্সি ব্রাউন পাঁচ রানের বেশি করতে পারেননি। সাদারল্যান্ড শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৩৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৭৩ রানে।

Advertisement

বড় রানের বোঝা ঘাড়ে নিয়েও ইংল্যান্ড শুরুটা ভাল করেছিল। দুই ওপেনার এমা ল্যাম্ব এবং বিউমন্ট খেলে যাচ্ছিলেন স্বাভাবিক গতিতেই। তবে দলের ৩৬ রানের মাথায় ফিরে যান ল্যাম্ব। তাঁকে ফেরান শতরানকারী সাদারল্যান্ডই। বিউমন্টের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইংরেজ অধিনায়ক হেদার নাইট। দু’জনে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের জুটি গড়েন। এই দুই ব্যাটারকে ফেরানোর জন্য অজি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি একাধিক কৌশল নিলেও কোনওটাই কাজে লাগেনি। পিচ থেকে বোলাররা খুব একটা সাহায্য পাচ্ছিলেন না। ফলে বিউমিন্ট এবং নাইটের রান করতে অসুবিধা হয়নি।

১৫১ রানের মাথায় অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। অ্যাশলে গার্ডনারের বল পিচে পড়ে সুইং করেছিল। নাইটের ব্যাটে খোঁচা লেগে বল জমা পড়ে অজি উইকেটকিপার হিলির হাতে। তৃতীয় উইকেটে বিউমন্টের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শিভার ব্রান্ট। শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন তিনি। তবে বিউমন্ট একটু ধীরগতিতে খেলছিলেন। এক সময় মনে হচ্ছিল তাঁর হয়তো এ দিন শতরান হবে না। কিন্তু শেষের দিকে চালিয়ে খেলে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে যান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement