ছবি: টুইটার।
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠল জ়িম্বাবোয়ে। যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ক্রেগ এর্ভিনরা হারালেন ৫ উইকেটে। প্রথমে ব্যাট করে স্কটিশরা করেন ৬ উইকেটে ১৩২ রান। জবাবে জ়িম্বাবোয়ে ১৮.৩ ওভারে করল ৫ উইকেটে ১৩৩ রান। ১২তম দল হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র পেল জ়িম্বাবোয়ে।
টস জিতে প্রথমে ব্য়াটিং নিয়েও বড় রান তুলতে পারল না স্কটল্যান্ড। ওপেনার জর্জ মুনসি ছাড়া কোনও স্কটিশ ব্যাটার তেমন রান পেলেন না। মুনসি ৫১ বলে ৫৪ রান করলেন সাতটি চারের সাহায্যে। দুই অঙ্কের রান পেলেন স্কটল্যান্ডের আর দুই ব্যাটার। অধিনায়ক রিচি বেরিংটন করলেন ১৫ বলে ১৩ রান। মাইকেল লিস্কের অবদান ৯ বলে ১২ রান। জ়িম্বাবোয়ের সফলতম বোলার তেন্ডাই চাতারা। ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট পেলেন তিনি। ২৮ রানে ২ উইকেট নিলেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি জ়িম্বাবোয়ের। মাত্র ৭ রানেই ২ উইকেট হারায় তারা। চাপের মুখেও ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন জ়িম্বাবোয়ের অধিনায়ক। এর্ভিন উইকেটের এক দিকে ভরসা দিলেন দলকে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৫৪ বলে ৫৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। ছ’টি চার দিয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন সিকান্দর রাজাও। পাক বংশোদ্ভুত অলরাউন্ডার খেললেন ২৩ বলে ৪০ রানের আগ্রাসী ইনিংস। তিনটি চার এবং দু’টি ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। ৯ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৩ রান তুলে নিল জ়িম্বাবোয়ে।
মূলত অভিজ্ঞতার অভাবেই ম্যাচ হেরে গেল স্কটল্যান্ড। জ়িম্বাবোয়েকে চেপে ধরেও রাশ ধরে রাখতে পারলেন না স্কটিশ বোলাররা। স্কটল্যান্ডের সফলতম বোলার জস ড্যাভি ১৬ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট মার্ক ওয়াটের। ২৬ রানে ১ উইকেট নিলেন ব্যাড হুইল।