বিশ্বকাপের মাঝে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার হয়েছে দানুষ্কা গুণতিলক। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের মাঝে ধর্ষণে অভিযুক্ত ক্রিকেটার দানুষ্কা গুণতিলককে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। সোমবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের এগজিকিউটিভ কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ, আগামী দিনে শ্রীলঙ্কার হয়ে গুণতিলককে আর খেলতে দেখা যাবে না।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড এর আগে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘‘আইসিসি আমাদের জানিয়েছে, এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে আমাদের ক্রিকেটার গুণতিলককে গ্রেফতার করেছে সিডনি পুলিশ। গুণতিলককে সোমবার সিডনির আদালতে হাজির করানো হবে। ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে। আইসিসির সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে। আশা করব যথাযথ তদন্ত হবে। অভিযুক্ত ক্রিকেটার সত্যিই অপরাধ করে থাকলে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।
অন্য দিকে গুণতিলকের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সিডনির একটি আদালত। সোমবার ভিডিয়ো মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজিরা দেন গুণতিলক। তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট রবার্ট উইলিয়ামস তাঁকে জামিন দেননি। আগামী বুধবার এই মামলা আরও এক বার আদালতে উঠবে। তত দিন পুলিশি হেফাজতেই থাকতে হবে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারকে।
ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার ভোররাতে সিডনির একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গুণতিলককে। তাঁকে ছাড়াই রবিবার সকালে দেশে ফেরার বিমান ধরেছেন দাসুন শনাকারা। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘একটি ডেটিং অ্যাপে যোগাযোগের পর ২৯ বছরের এক মহিলার সঙ্গে এক জন পুরুষ দেখা করেছিলেন। মহিলার অভিযোগ, গত ২ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। পুলিশ বিভাগের অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।’’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের পর এবং আরও তদন্তের জন্য ৩১ বছরের ওই ব্যক্তিকে সিডনির সাসেক্স স্ট্রিটের এক হোটেল থেকে রাত ১টার কিছু পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তিকে সিডনি সিটি থানায় নিয়ে আসা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়াই সহবাসের অভিযোগ রয়েছে। যা এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে চতুর্থ পর্যায়ের। ধৃত শ্রীলঙ্কার নাগরিক। প্রাথমিক ভাবে অডিয়ো ভিডিয়ো ব্যবস্থায় তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।’’ সিডনি পুলিশের বিবৃতিতে অভিযুক্তের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সিডনির যে হোটেলে শ্রীলঙ্কা দল ছিল, সেই হোটেলে এই ঘটনা ঘটেনি। কাছেরই অন্য একটি হোটেলে ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার।