ভারতীয় দলের খেলার সমালোচনা করলেন শোয়েব। ছবি: টুইটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান লড়াই না হওয়ায় হতাশ শোয়েব আখতার। আর একটা ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখার আশায় ছিলেন তিনি। প্রাক্তন জোরে বোলার এতটাই হতাশ যে, ভারতের অধিনায়ক বদলের দাবি তুলে দিলেন।
সেমিফাইনালে রোহিত শর্মার দলের খেলা দেখে হতাশ শোয়েব। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতের এই দলের ফাইনাল খেলার যোগ্যতাই নেই।’’ তাঁকে হতাশ করেছে রোহিতের নেতৃত্বও। তাঁর দাবি, টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হোক হার্দিক পাণ্ড্যর হাতে। শোয়েব বলেছেন, ‘‘নিউজ়িল্যান্ড সফরে হার্দিককে অন্তর্বর্তী অধিনায়ক করা হয়েছে। ওকেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্থায়ী অধিনায়ক করে দেওয়া উচিত।’’ শোয়েবের মতে আইপিএলে অধিনায়ক হার্দিক নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। তাই ভারতীয় অলরাউন্ডারের উপর আস্থা রাখাই যায়। শোয়েবের দাবি, নেতা বদল করার ব্যাপারে ভারত দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের হার তাঁকে হতাশ করেছে ঠিকই। তবে বেশি হতাশ হয়েছেন ভারতীয় দলের খেলায়। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেছেন, ‘‘ভারতের এই হারটা খুব হতাশজনক। অত্যন্ত খারাপ খেলেছে। ওরা হেরে যাওয়ারই যোগ্য। ফাইনালে ওঠার যোগ্যতাই নেই এই দলের। ভারতের হারটা খুব খারাপ। ওদের বোলিংয়ের দুর্দশা প্রকট হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের পরিবেশে দ্রুতগতির জোরে বোলার দরকার হয়। ভারতের এক জনও দ্রুত গতির বোলার নেই।’’
১৫ জনের দলে থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান যুজবেন্দ্র চহাল। ভারত তাঁকে ব্যবহার না করায় বিস্মিত শোয়েব। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘জানি না কেন চহালকে একটাও ম্যাচ খেলানো হল না। ভারতের দল নির্বাচন ভুলে ভরা।’’ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেছেন, ‘‘ভারতের জন্য খুব খারাপ একটা দিন। ওদের মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হল। টস হারার পরেই পিছিয়ে পড়ে ভারত। ইংল্যান্ড প্রথম পাঁচ ওভার অনবদ্য ব্যাট করল। ভারত তখনই হাত তুলে দিয়েছে। আশা করেছিলাম ভারত অন্তত লড়াই করবে। মনে হয়েছিল রাউন্ড দ্য উইকেট বল করবে বা বাউন্সার দেওয়ার চেষ্টা করবে। ভারতের ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনও আগ্রাসনই দেখলাম না।’’