বাবররা হারলেও তাঁদের খেলায় মুগ্ধ শোয়েব আখতার। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হারলেও দলের ক্রিকেটারদের লড়াইয়ে মুগ্ধ পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। হতাশ না হয়ে বাবর আজ়মদের মাথা উঁচু করে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে একটি চ্যালেঞ্জও দিয়েছেন আখতার। আগামী বছর ভারতে এক দিনের বিশ্বকাপ জেতার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের হারের পরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো বার্তায় আখতার বলেছেন, ‘‘মাথা উঁচু করে রাখো। হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। তোমরা লড়াই করেছ। সামনের বছর ভারতে বিশ্বকাপ। যদি নায়ক হওয়ার ইচ্ছা থাকে, তা হলে ওয়াংখেড়ে থেকে বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরো। এটাই তোমাদের চ্যালেঞ্জ।’’ কী ভাবে পাকিস্তান সেই চ্যালেঞ্জ পূর্ণ করতে পারবে তারও একটা উপায় বাতলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘শুধু নিজেদের ফিটনেসের দিকে নজর রাখো। কঠোর অনুশীলন করো। ঠিক মতো দল নির্বাচন করো। তা হলেই আমরা ভারতে বিশ্বকাপ জিততে পারব।’’
পাকিস্তানের হারের মধ্যে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন আখতার। জানিয়েছেন, ভারতের মতো লজ্জার হার নয়, লড়ে হেরেছে পাকিস্তান। তিনি বলেছেন, ‘‘খেলায় হার-জিত আছে। আমি পাকিস্তান দলের পাশে আছি। আমি চেয়েছিলাম শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা যাক। ম্যাচ হারলেও দলের ছেলেরা যে লড়াই দিয়েছে তাতে আমি খুশি। ভারতের বোলিং ইংল্যান্ডকে একটুও সমস্যায় ফেলতে পারেনি। ওরা একটাও উইকেট নিতে পারেনি। কিন্তু পাকিস্তানের বোলাররা নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলেছে। অনেক কষ্টে ওদের জিততে হয়েছে।’’
আখতারের মতে, শাহিন শাহ আফ্রিদি চোট পাওয়ায় খেলা ইংল্যান্ডের দিকে ঘুরে যায়। সম্পূর্ণ সুস্থ না হতেই শাহিনকে নামিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তিনি। এতে পাক বোলারের কেরিয়ারের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। আখতার বলেছেন, ‘‘এই ধরনের ভুলে শাহিনের মতো বোলারের কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সম্পূর্ণ সুস্থ না হলে কাউকে দলে নেওয়া উচিত নয়। এই নিয়ম চালু করা উচিত। শাহিনকে যখন মাঠে নামানো হয় তখন ও ৭০ শতাংশ সুস্থ ছিল। তার খেসারত দলকে দিতে হল। চাপের মধ্যে ওর শরীর জবাব দিল। ক্যাচটা নেওয়ার আগেও শাহিন যে ভাবে হাঁটছিল তাতে ওকে দেখে সুস্থ লাগছিল না। ও অনেক চেষ্টা করেছে। নিজের সবটা দিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি।’’