বড় ম্যাচে ধারাবাহিক ভাবে খারাপ খেলল ভারতের ওপেনিং জুটি। —ফাইল চিত্র
এক জন ভারতের অধিনায়ক। অন্য জন সহ-অধিনায়ক। ভারতের হয়ে ওপেন করতে নামেন তাঁরা। কিন্তু বড় ম্যাচে বার বার ব্যর্থ হচ্ছেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। একই ছবি দেখা গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। আরও এক বার রান পেলেন না তাঁরা।
গত কয়েকটি আইসিসি প্রতিযোগিতায় নকআউটে রোহিতের ফর্ম খুব একটা ভাল নয়। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৯ রান করেছিলেন রোহিত। ২০১৫ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করেছিলেন ৩৪ রান। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৪৩ রান এসেছিল রোহিতের ব্যাট থেকে। পরের বছর ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন রোহিত। ২০১৯ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও রান পাননি রোহিত। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ১ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।
অন্য দিকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চুপ থেকেছে রাহুলের ব্যাটও। ২০১৯ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন ভারতের এই ডান হাতি ওপেনার। এ বারের বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রান পাননি রাহুল। সেমিফাইনালেও সেই ছবি দেখা গেল।
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে যান রাহুল। রোহিত বেশ কিছু ক্ষণ ক্রিজে ছিলেন। কিন্তু ছন্দে ছিলেন না। ২৭ রান করেন তিনি। কিন্তু তার জন্য ২৮ বল খেলেন তিনি। রোহিতের মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য পাওয়ার প্লে-তে রান করতে পারেনি ভারত। তার খেসারত দিতে হয় ভারতীয় দলকে।
বার বার ব্যর্থ হওয়ার পরেও এই বিষয়ে বিশেষ ভাবতে রাজি নন রোহিত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে নিজের ফর্ম নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘একটা ম্যাচ কোনও ক্রিকেটারের প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না। সারা জীবনে সে কী রকম খেলেছে তার মূল্যায়ন একটা ম্যাচে হয় না। শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, সব ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে এই কথাটা খাটে। গোটা বছর ধরে আমরা পরিশ্রম করি। প্রতিটা ফরম্যাটে ভাল খেলার চেষ্টা করি। তাই একটা ম্যাচের উপর কিছু নির্ভর করে না।’’
আইসিসি প্রতিযোগিতায় নকআউট ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও কোনও ক্রিকেটার অতীতে তাঁর দেশের জন্য কী করেছেন সেটা সবার মাথায় রাখা উচিত বলে মনে করেছেন রোহিত। তিনি বলেছেন, ‘‘নকআউটে খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ভাল খেললে আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়ে। কিন্তু কোনও ক্রিকেটার অতীতে দেশের জন্য কী রকম খেলেছে সেটা আমাদের ভুললে চলবে না। একটা ম্যাচে খারাপ খেললে কোনও ক্রিকেটার খারাপ হয়ে যায় না।’’