পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা নেই। নামবেন অধিনায়ক বাবর আজ়ম। এশিয়া কাপে দু’টি ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে ভাল খেলতে না পারলেও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর ইনিংস ভুলে যাননি কেউই।
টি-টোয়েন্টিতে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ব্যাটার মহম্মদ রিজ়ওয়ান সঙ্গী হবেন বাবরের। যা-ই হোক না কেন, তাঁর ব্যাটে রানের খরা কোনও দিন কমে না।
২০১৭-এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিরুদ্ধে ফখর জ়মানের সেই ইনিংসের কথা ভুলে যাননি কেউই। বিশ্বকাপে সেই দৃশ্য যে দেখা যাবে না, সেটা কে বলতে পারে?
অনুশীলনে মাথায় চোট পেয়েছিলেন। স্ক্যান পরার পর কোনও চোট ধরা পড়েনি। তাই ভারতের বিরুদ্ধে শান মাসুদকে নিয়েই দল গড়বেন বাবর। সাম্প্রতিক ছন্দ কিছুটা চিন্তায় রাখতে পারে।
পাঁচে নেমে ঝোড়ো ব্যাট করতে মহম্মদ নওয়াজ়ের জুড়ি নেই। এশিয়া কাপ এবং নিউজ়িল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ়ে সেটা বার বার বুঝিয়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধেও তাঁর দ্রুত গতিতে রান তোলা দেখা যেতে পারে।
ছক্কা মারতে সিদ্ধহস্ত। তবে কবে ব্যাট বল লাগবে, সেটাই বড় প্রশ্ন। নিজের দিনে আসিফ আলি একার হাতে যে কোনও প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেন।
শেষ দিকে নেমে চালিয়ে খেলতে হায়দার আলি অভ্যস্ত। সাম্প্রতিক কালে জ্বলে উঠতে পারেননি। সেটা দলকে চিন্তায় রাখতে পারে।
নওয়াজ়ের মতোই যে কোনও জায়গায় ব্যাটিং করতে পারেন শাদাব খান। নিজে সে ভাবে খেলতেও প্রস্তুত। মাঝের ওভারে উইকেট নিতেও দক্ষ।
দেড়শো কিমি বেগে বল করা হ্যারিস রউফের কাছে জলভাত। গতিতেই উইকেট নেওয়ার দক্ষতা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পিচে তাঁর বোলিং কাজে লাগতে পারে।
পাকিস্তানের গতির আর এক ভরসা নাসিম শাহ। বয়স কম, হাতে তেমনই জোর। তিনিও নিয়মিত দেড়শোর কাছাকাছি বোলিং করতে পারেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মার খেয়ে যাওয়ার রোগ রয়েছে।
পাকিস্তানের অন্যতম সেরা অস্ত্র শাহিন আফ্রিদি। মেলবোর্নের পিচে সুইং পেলে রোহিত, কোহলিদের স্টাম্প নড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন যে কোনও মুহূর্তে। চোট সারিয়ে ফিরে আরও ধারালো হয়ে উঠেছেন।