আইপিএলে এ ভাবেই জস বাটলারকে মাঁকড়ীয় আউট করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। —ফাইল চিত্র
ক্রিকেটে মাঁকড়ীয় আউট নিয়ে গত কয়েক মাসে অনেক আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ এই পদ্ধতিতে আউটের পক্ষে। অনেকে আবার বলছেন, নিয়ম থাকলেও ক্রিকেটীয় আদর্শের কথা ভেবে এ ভাবে কোনও ব্যাটারকে আউট করা উচিত নয়। তবে ক্রিকেটে মাঁকড়ীয় আউট কতটা দরকার, তা প্রমাণ করে দিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে শেষ বলে জিততে ৩ রান করতে হত পাকিস্তানকে। ব্যাট করছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। অপর প্রান্ত ছিলেন ওয়াসিম। ব্র্যাড ইভান্স বল করার আগেই দেখা যায়, ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন ওয়াসিম। বলটি লং অনে মারেন শাহিন। প্রথম রান সম্পূর্ণ করলেও দ্বিতীয় রান সম্পূর্ণ করার আগেই রান আউট হয়ে যান শাহিন। কিন্তু জ়িম্বাবোয়ের সিকন্দর রাজা যদি বোলারের প্রান্তে থ্রো করতেন তা হলে বল উইকেটে পৌঁছনোর আগেই ঢুকে যেতেন ওয়াসিম। কারণ, তিনি আগে থেকেই দৌড়ে গিয়েছিলেন।
ওয়াসিমের এই আগে থেকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে এ ভাবে রান নেওয়ার বিরোধিতা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্পিনার ব্র্যাড হগ। তিনি লিখেছেন, ‘‘বোলার বল করার আগে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে এই কারণেই পেনাল্টি দেওয়া উচিত।’’
মাঁকড়ীয় আউট নিয়ে বার বার প্রশ্ন ওঠায় বিরক্ত ভারতীয় ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ড্য। পাকিস্তান ম্যাচের পরে হার্দিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল মাঁকড়ীয় আউট নিয়ে। জবাবে হার্দিক বলেন, ‘‘বার বার এক বিষয়ে কেন বিতর্ক হচ্ছে? এ ভাবে আউট তো ক্রিকেটের নিয়মেই আছে। তা হলে ক্রিকেটীয় আদর্শ কোথা থেকে আসছে? ক্রিকেটীয় আদর্শের নিকুচি করেছে। আর যদি আদর্শই গুরুত্বপূর্ণ হয়, তা হলে নিয়ম বদলে দাও। তা হলেই আর কোনও সমস্যা হবে না।’’
হার্দিকের মতে, ব্যাটার যদি বল করার আগে ক্রিজের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে আউট হন, তা হলে সেটা তাঁর ভুল। বোলারের নয়। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার এই নিয়ম নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। যদি আমি এ ভাবে আউট হই তা হলে সেটা আমার ভুল। বোলারের নয়। যদি কোনও নিয়ম থাকে তা হলে তার সুবিধা নেওয়ার মধ্যে অন্যায় কোথায়? এটা নিয়ে এত বিতর্কের কী আছে?’’
২০১৯ সালের আইপিএলে জস বাটলারকে মাঁকড়ীয় আউট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার পরেও এই ঘটনা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। অশ্বিন স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটের নিয়মের মধ্যে থেকেই রানআউট করেছেন তিনি। তাই সেটা বৈধ। পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই একই কাজ করেন দীপ্তি। তখনও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অশ্বিন। দীপ্তি পাশে পেয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকরকেও।