এক ওভারেই ম্যাচের রং বদলে দিলেন মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র
গত দু’দিন ধরে টানা অনুশীলন করলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৯তম ওভার পর্যন্ত ডাগআউটে বসে থাকতে দেখা যায় মহম্মদ শামিকে। হার্দিক পাণ্ড্য, হর্ষল পটেলরা যখন মার খাচ্ছেন তখনও মাঠে নামেননি তিনি। শামিকে মাঠে দেখা গেল শেষ ওভারে। সবাইকে চমকে দিয়ে তাঁর হাতেই বল তুলে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এক ওভারেই অধিনায়কের মুখে হাসি ফোটালেন শামি। বুঝিয়ে দিলেন, যশপ্রীত বুমরা না থাকায় দলের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিতে তৈরি তিনি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১১ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম বলে ২ রান নেন প্যাট কামিন্স। পরের বলেও ২ রান হয়। তৃতীয় বলে লং অনে বড় শট খেলেন কামিন্স। মনে হচ্ছিল ছক্কা হবে। কিন্তু এক হাতে ক্যাচ ধরেন বিরাট কোহলি। সেখানেই খেলা ঘুরে যায়।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পরের তিন বলে তিনটি উইকেট পড়ল। প্রথমে দীনেশ কার্তিকের থ্রো ধরে অ্যাস্টন অ্যাগারকে রানআউট করেন শামি। পরের দু’বলে দু’জন ব্যাটারের উইকেট ভাঙল। প্রথমে জশ ইংলিশ। পরে কেন রিচার্ডসন। ১৮০ রানে অলআউট হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। শামির এক ওভারে চারটি উইকেট পড়ল। তার মধ্যে তিনটি উইকেট নিলেন তিনি।
ভারতের হয়ে ডেথ ওভারে কারা বল করবেন তা নিয়ে এশিয়া কাপ থেকে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভারতের আশা ছিল, বুমরা সুস্থ হয়ে ফিরলে বিশ্বকাপে সেই সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু চোট পেয়ে ছিটকে যান বুমরা। চোটে বাদ পড়েন দীপক চাহারও। ফলে ভারতীয় দলে সুযোগ পান শামি। পড়ে পাওয়া সুযোগ দারুণ ভাবে কাজে লাগালেন শামি। বিশ্বকাপে স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন হল বাংলার পেসারের।