টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় পুরানদের। ছবি: টুইটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বেই উঠতে পারল না ক্রিস গেলের সম্ভাব্য ফাইনালিস্টরা। যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকেই ছিটকে গেল দু’বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। আয়ারল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেলেন নিকোলাস পুরানরা।
শুক্রবার যোগ্যতা অর্জন পর্বের শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ় অধিনায়ক। মরণ-বাঁচন ম্যাচেও নিজেদের দক্ষতার প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটাররা। আইরিশ বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন এক মাত্র ব্র্যান্ডন কিং। তিনি ৪৮ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস না খেললে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় লড়াই করার মতো রানও তুলতে পারত না। ছ’টি চার এবং একটি ছয় দিয়ে সাজানো ব্র্যান্ডনের এই ইনিংসের সুবাদেই পুরানরা তোলেন ৫ উইকেটে ১৪৬ রান। তিনি ছাড়া কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেন ওপেনার জনসন চার্লস এবং ওডিন স্মিথ। চার্লসের ব্যাট থেকে এল ১৮ বলে ২৪ রান। স্মিথ অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ১৯ রান করে।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে বল হাতে নজর কাড়লেন গ্যারেথ ডিলানি। ১৬ রানে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। ১১ রানে ১ উইকেট নেন সিমি সিংহ। এ ছাড়া ৩৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন ব্যারি ম্যাককার্থি। ভাল বল করেও উইকেট পেলেন না মার্ক আদের। তিনি ৪ ওভার বল করে ২৬ রান দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৫০ রান তুলে নিল আয়ারল্যান্ড। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন দুই আইরিশ ওপেনার। অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবির্নি ২৩ বলে ৩৭ রান করলেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে তিনটি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি। উইকেটের অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন পল স্টার্লিং। তিন নম্বরে নেমে ভাল ব্যাটিং করলেন উইকেটরক্ষক লোরকান টাকার। তিনি স্মিথের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে সুযোগ দিয়েছিলেন বটে। কিন্তু নো বল হওয়ায় বেঁচে যান। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত রইলেন ৩৫ বলে ৪৫ রান করে। দু’টি করে চার এবং ছয় মারেন তিনি। স্টার্লিং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪৮ বলে ৬৬ রান করে। নিজের ইনিংসটি তিনি সাজালেন ছ’টি চার এবং দু’টি ছয় দিয়ে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কোনও বোলারই তেমন সমস্যায় ফেলতে পারলেন না আইরিশ ব্যাটারদের। কম রানের পুঁজি নিয়েও তেমন আগ্রাসী বোলিং করতে পারলেন না তাঁরা। ফলে লক্ষ্যে পৌঁছতে তেমন সমস্যাই হল না আইরিশদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পক্ষে এক মাত্র উইকেটটি নিয়েছেন আকিল হোসেইন। তিনি খরচ করেছেন ৩৮ রান।