ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম পাঁচটি জায়গা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। দলের ইনিংস শুরু করবেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাই। ভাল ছন্দে রয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
শুরুতে রোহিতের সঙ্গী হবেন দলের সহ-অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। চোট সারিয়ে ফেরার পর থেকে তেমন রান পাচ্ছিলেন না। তবে, সম্প্রতি আবার চেনা ছন্দে ফিরেছেন রাহুল।
ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে বিরাট কোহলিকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। এশিয়া কাপ থেকে রানে ফিরেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। প্রথম একাদশে তাঁর থাকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।
কোহলির পর গুরুত্বপূর্ণ চার নম্বরে নামবেন সূর্যকুমার যাদব। এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর খেলা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
পাঁচ নম্বরে নামবেন হার্দিক পাণ্ড্য। ভারতীয় দলের ভারসাম্যের প্রশ্নে হার্দিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও বিপক্ষকে বিপদে ফেলতে পারেন এই অলরাউন্ডার।
হার্দিকের পর নামবেন দীনেশ কার্তিক। ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে যে হেতু সুযোগ নেই, তাই ফিনিশার কার্তিককে চাইছেন রোহিতরা। তা ছাড়া দুই উইকেটরক্ষকের মধ্যে ভাল ছন্দে রয়েছেন কার্তিক। হার্দিকের মতোই গত আইপিএল থেকে তাঁকে দেখা যাচ্ছে নতুন মেজাজে।
স্পিনার হিসাবে থাকবেন অক্ষর পটেল। বাঁহাতি হওয়ায় ব্যাটিং অর্ডারেও বৈচিত্র বাড়াতে পারবেন অক্ষর। তা ছাড়া রবিচন্দ্রন অশ্বিনের থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি ব্যাট এবং বল হাতে বেশি কার্যকর।
জোরে বোলার হিসাবে খেলবেন ভুবনেশ্বর কুমার। ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা তিনি। অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর শেষের দিকের ওভারে বল করতেও দক্ষ।
থাকবেন আরশদীপ সিংহ। তরুণ জোরে বোলার বাঁহাতি হওয়ায় বোলিং আক্রমণের বৈচিত্র বাড়বে। তাঁর হাতে রয়েছে অনবদ্য ইয়র্কার। ছন্দে না থাকা হর্ষল পটেলের থেকে আরশদীপই এগিয়ে রোহিতদের পছন্দের বিচারে।
তৃতীয় জোরে বোলার মহম্মদ শামি। দীর্ঘ দিন পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দলে ফিরেছেন তিনি। নেটে তাঁর বল খেলতে পারছেন না অধিনায়ক রোহিতও। যশপ্রীত বুমরার জায়গায় দলে আসা শামির খেলা নিশ্চিত।
থাকবেন যুজবেন্দ্র চহাল। স্পিনার হিসাবে তিনিই প্রথম পছন্দ। তাঁর খেলা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।