দু’দেশের সমর্থকদের নাচ। ছবি টুইটার
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই স্টেডিয়ামে থাকবে উত্তাপ। দু’দলের সমর্থকরা ভর্তি করবেন মাঠ। চার-ছয় হলে বা উইকেট পড়লে গ্যালারির রং বার বার পাল্টে যাবে। রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মেলবোর্নে এই দৃশ্যগুলিই দেখা গিয়েছে। একই সঙ্গে দেখা গিয়েছে দু’দেশের সমর্থকদের মধ্যে বন্ধুত্ব। রাজনৈতিক জটিলতার কারণ দু’দেশের সম্পর্ক ভাল না-ই হতে পারে। কিন্তু দু’দেশের মানুষ যে নিজেদের একে অপরের থেকে ভিন্ন মনে করেন না, এটা বোঝা গিয়েছে ম্যাচের পর।
শেষ ওভারে তুমুল উত্তেজনার পর ভারতকে জয় এনে দেন বিরাট কোহলি। কিন্তু মাঠ থেকে বেরিয়ে সমর্থকদের মধ্যে কোনও রকম শত্রুতা, মারপিট বা অশান্ত পরিবেশ দেখা যায়নি। বরং নীল জার্সি এবং সবুজ জার্সিধারীরা নাচলেন ‘পাসুরি’ গানের সঙ্গে। টুইটারে নাচের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে।
সেই ভিডিয়োয় এক টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “রাজনীতি এবং নাগরিকত্ব আলাদা। কিন্তু ক্রিকেটপ্রেম, ভুল কথার সঙ্গে গান গাওয়া, এ সব ব্যাপারে আমরা সবাই এক।” আর এক জন লিখেছেন, “দু’দেশের সমর্থকদের গানের স্বাদ একই রকম। ভারত এবং পাকিস্তানের সমর্থকদের এক সঙ্গে নাচতে দেখে ভাল লাগছে। ম্যাচ হারার পরে একে অপরের প্রতি সমীহ এবং ভালবাসা যে বজায় রয়েছে, সেটা এই ভিডিয়ো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, পাসুরি হল একটি পঞ্জাবি গান, যা ইউটিউবের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘কোক স্টুডিয়ো’য় মুক্তি পায় গত ফেব্রুয়ারিতে। ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশেই এই গান তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে। আলি শেঠি এবং শায় গিল এই গানটি গেয়েছেন।
রবিবারের ম্যাচের শেষ ওভার হঠাৎই উত্তেজক হয়ে ওঠে। ভারতের ইনিংসের শেষ ওভারে মহম্মদ নওয়াজ়ের বলে আম্পায়ারের নো ডাকা ঘিরে বিতর্ক এখনও রয়েছে। শোয়েব আখতার, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার উইনিস, শোয়েব মালিকের মতো ক্রিকেটাররা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, বিরাট কোহলির চাপেই আম্পায়ার নো ডাকতে বাধ্য হয়েছেন। পাক বোর্ড চেয়ারম্যান রামিজ় রাজাও ক্রিকেটকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেছেন।
প্রাক্তনরা যা-ই বলুন না কেন, বিতর্ক বাড়াতে চাননি পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজ়ম। তাঁর মতে, কোহলি ও হার্দিকের ব্যাটেই ম্যাচ হারতে হয়েছে তাঁদের। এই ধরনের কঠিন খেলায় হার-জিত হতেই পারে। হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে নামতে চান তিনি।