প্রত্যাবর্তনের রহস্যফাঁস হার্দিকের। ছবি টুইটার
কয়েক বছর আগের একটি কফি শোয়ের পর্ব পাল্টে দিয়েছিল হার্দিক পাণ্ড্যের জীবন। বিতর্ক কাটিয়ে ফিরে এলেও ক্রিকেটজীবনে হানা দিয়েছিল চোট-আঘাত। হারিয়েছিলেন ছন্দ। সেগুলিও ধীরে ধীরে পেরিয়েছেন। এখন তিনি ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। ব্যাটে-বলে ভরসার স্তম্ভ। কিন্তু কয়েক বছর আগে অতীতের সেই দিনগুলি কেমন ছিল?
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রবিবারের ম্যাচে ব্যাটে-বলে মাতিয়েছেন তিনি। তার পরে হার্দিক জানিয়েছেন, এখন আর তিনি ভয় পান না। নিজেকে এ ভাবেই দেখতে ভাল লাগছে তাঁর। হার্দিকের কথায়, “একটা সময় ছিল যখন জানতাম না আমার ভবিষ্যৎ কী? মনের মধ্যে একরাশ ভাবনাচিন্তা ভিড় করে আসত। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করতাম, ‘ভবিষ্যতে জীবনের থেকে কী চাই?’ এখন আমি আর ব্যর্থতাকে ভয় পাই না। ভবিষ্যতে কী হতে পারে, ম্যাচের ফলাফল কী হতে পারে তা নিয়ে একেবারেই ভাবি না। লোকে কী বলছে সেটাও কানে শুনি না। তবে ওদের মন্তব্যকে আমি সমীহ করি।”
এখন যে ভাবে খেলছেন, সেটাই কি চালিয়ে যেতে চান? হার্দিকের সপাটে উত্তর, “একদমই। রাহুল স্যরকেও বলছিলাম, ১০ মাস আগে মাঠে খেলতে নামার সময় খুব খুশি ছিলাম। উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। রাহুল স্যর বোধহয় ভেবেছিলেন আমি অতিরিক্ত উত্তেজিত। আমি ওঁকে বললাম, খেলাটা আমি উপভোগ করতে চাই বলেই খেলি। নিজের থেকে নিজেই যেটা প্রত্যাশা করি, সেই অনুযায়ী খেলতে চাই।”
হার্দিক মেনে নিলেন, শেষ সাত মাস তাঁর জীবনের সবচেয়ে ভাল সময়। বলেছেন, “গত ছ’-সাত মাস নিঃসন্দেহে ভাল। তবে ক্রিকেটের বাইরে যে সময়টা কাটিয়েছি, তখনই তৈরি হচ্ছিলাম এ ধরনের মুহূর্তগুলোর জন্যে। ওই সময়ে এমন অনেক কিছু শিখেছি যা কোনও দিন ভুলবে না। তখনই বুঝেছিলাম, খেলতে গেলে নিজের সেরাটা দিতে হবে এবং প্রতি ম্যাচে অবদান রাখতে হবে।”