অলিম্পিক্সে আটটি সোনার পদক রয়েছে বোল্টের। —ফাইল চিত্র
ক্রিকেটের নিয়ম পাল্টায়, ক্রিকেটাররাও খেলার ধরন পাল্টান। শনিবার তেমনটাই দেখা গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা বনাম নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচে। গ্লেন ফিলিপ্স যে ভাবে নন স্ট্রাইকারের দিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাতে এক সময় ধারাভাষ্যকাররা তাঁকে উসেইন বোল্টের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
মাঁকড়ীয় পদ্ধতিতে আউট করলে এখন সেটাকে রান আউট বলেই ধরা হয়। ফিলিপ্স সেই বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনি যখনই নন স্ট্রাইকারের দিকে এসেছেন, তখনই দৌড়বিদদের মতো বসে তৈরি হয়ে থেকেছেন দৌড়ানোর জন্য। তাঁর ওই ভাবে দাঁড়ানো দেখে ধারাভাষ্যকাররা বলেন, “উসেইন বোল্টের মতো দাঁড়াচ্ছেন গ্লেন ফিলিপ্স। কিন্তু মিল ওইটুকুই।”
অলিম্পিক্সে আটটি সোনার পদক রয়েছে বোল্টের। ১০০ মিটার দৌড়ে পৃথিবীর দ্রুততম মানুষ তিনি। দৌড় শুরু করার আগে তিনি যে ভাবে দাঁড়াতেন, ফিলিপ্সের সঙ্গে সেটারই মিল পেয়েছেন অনেকে। যদিও ফিলিপ্স বোল্টের মতো গতিতে দৌড়াননি। তিনি চেষ্টা করছিলেন ব্যাট ক্রিজের মধ্যে রেখেও কী ভাবে এগিয়ে থাকা যায় দৌড়ানোর জন্য।
বোল্টের মতো গতিতে দৌড়াতে না পারলেও দলের রানের গতি ছিল ফিলিপ্সের হাতেই। ৬৪ বলে ১০৪ রান করেন কিউই ব্যাটার। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১০টি চার এবং চারটি ছক্কা দিয়ে। ফিলিপ্সের শতরানের দাপটেই ১৬৭ রান করে নিউজ়িল্যান্ড। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন তিনিই। ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৮৪ রানের জুটি গড়েন ফিলিপ্স। এর মধ্যে ২৪ বলে ২২ রান করেন মিচেল। বাকিটা ফিলিপ্সের। অন্য কোনও ব্যাটারও সে ভাবে রান পাননি।
নিউজ়িল্যান্ডের রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কাও শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকে। বল হাতে ট্রেন্ট বোল্ট ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কিউই পেসার। শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারানো নিউজ়িল্যান্ড ৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায়। ভানুকা রাজাপক্ষ (৩৪) এবং দাসুন শনকা (৩৫) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা ছাড়া শ্রীলঙ্কার কোনও ব্যাটার দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। কিন্তু তাঁদের লড়াই যথেষ্ট ছিল না। ১০২ রানে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।