ভারতের জয়ের পর কোহলি, অশ্বিন। ছবি: আইসিসি
পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করল ভারত। প্রথম ম্যাচে জিতেই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন রোহিতরা। কোন পাঁচ কারণে জিতল ভারত, বিশ্লেষণে আনন্দবাজার অনলাইন।
এক, বিরাট কোহলির অনবদ্য ব্যাটিং। ৫৩ বলে অপরাজিত ৮২। সঙ্গী হার্দিক পাণ্ড্য। দু’জনে মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাট করেন। পঞ্চম উইকেটে ১১৩ রান যোগ করেন দু’জনে। না হলে প্রথম চার ওভারে মাত্র ১০ রানে দু’উইকেট হারিয়ে শুরু থেকে চাপে পড়ে যায় ভারত। লোকেশ রাহুল প্রথম আউট হন। তাঁকে ফেরান নাসিম শাহ। এর পর হ্যারিস রউফ তুলে নেন রোহিত শর্মার উইকেট। দু’জনেই চার রান করেন। ভারত সম্ভবত সব থেকে বড় ধাক্কা খায় সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারিয়ে। দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন সূর্য। কিন্তু তিনি যখন ৯ বলে ১৫ রান করে ব্যাট করছেন তখনই রউফের একটি বল থেকে ব্যাট সরাতে পারেননি। এই উইকেট হারিয়ে আরও ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত। সেখান থেকে দলকে জেতান কোহলি, হার্দিক।
দুই, নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বাবর আজমকে ফিরিয়ে দেন আরশদীপ সিংহ। পরের ওভারে তিনি ফেরান মহম্মদ রিজ়ওয়ানকে। পাকিস্তানের সেরা দুই ব্যাটারকে প্রথম দু’ওভারে ফিরিয়ে দেন আরশদীপ। শুরুতেই ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রথম স্পেলে দু’ওভারে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আরশদীপ।
তিন, ইফতিখার আহমেদ যখন সবে বিপজ্জনক হতে শুরু করেছেন, তখনই তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে মোক্ষম ধাক্কা দেন মহম্মদ শামি। তিনি ৭৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন। সেখানেই পাকিস্তান ব্যটিংয়ের কোমর ভেঙে যায়।
চার, পাকিস্তান যাতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করেন হার্দিক পাণ্ড্য। এক ওভারে ফিরিয়ে দেন শাদাব খান, হায়দার আলিকে। হার্দিক পরের ওভারে তুলে নেন মহম্মদ নওয়াজ়ের উইকেট।
পাঁচ, ভুবনেশ্বর কুমারের দুর্দান্ত বোলিং। শেষ ওভারে মাত্র একটি উইকেট পেলেও চার ওভারে এই জোরে বোলার ২২ রান দেন। তাঁর বল খেলতেই পারেননি শান, ইফতিখাররা।