ভারতকে হারিয়ে আইপিএলকে কৃতিত্ব দিলেন বাটলার। ছবি: টুইটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জয় প্রত্যাশিত। কিন্তু ১০ উইকেটে জয়! ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার এতটা প্রত্যাশা করেননি। যদিও তিনি এই সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন ভারতকেই।
রোহিত শর্মার দলের ব্যর্থতা নয়, সাফল্যের অন্যতম কারণ হিসাবে বাটলার চিহ্নিত করেছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে। অর্থাৎ, আইপিএলকে যখন ভারতের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, তখন সাফল্যের অন্যতম কারণ হিসাবে ভারতের টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগকেই বেছে নিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
সেমিফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিতে পারা নিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমাদের দলের অনেকেরই আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই টি-টোয়েন্টি ম্যাচের কোনও পরিস্থিতিই আমাদের চমকে দিতে পারে না। আমরা ভারতের মাটিতে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। দর্শকদের চিৎকার সম্পর্কেও আমরা ওয়াকিবহাল। বিশেষ কোনও ক্রিকেটার মাঠে নামলে বা কেউ ভাল খেললে দর্শকরা প্রবল চিৎকার করে উৎসাহ দেন। আইপিএল খেলার সুবাদে এই আবহের সঙ্গে আমরা পরিচিত।’’ আইপিএলকে কৃতিত্ব দিয়ে বাটলার আরও বলেছেন, ‘‘আইপিএলে খেলার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলে আমার মনে হয় না অন্য কোথাও সমস্যা হবে বলে।’’
বাবর আজ়মরা সেমিফাইনালে ওঠার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনা শুরু হয়। আশায় বুক বাধতে শুরু করেন ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। যা অজানা নয় ইংল্যান্ড শিবিরের। তা নিয়ে বাটলার বলেছেন, ‘‘অনেকে আশা করেছিলেন, ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হবে। আমরা তাঁদের আশায় জল ঢেলে দিলাম। আমরাও ফাইনালে ওঠার জন্য মরিয়া ছিলাম। যাঁরা ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল আশা করেছিলেন, তাঁদের পার্টিটা নষ্ট করে দিলাম আমরা। প্রতিযোগিতার শুরুতেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো আরও একটা রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখার আশায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের আপাতত অপেক্ষা করতে হবে।’’
শুধু পরিবেশ নয় আইপিএল খেলার সুবাদে ভারতের প্রায় সব ক্রিকেটার সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা। এক দলে বা বিপক্ষে খেলার জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের শক্তি-দুর্বলতাও সকলের জানা। ভারতীয় দলের নতুন ক্রিকেটাররাও আর অপরিচিত থাকছেন না। ভারতের বিরুদ্ধে অন্য দলগুলির সাফল্যের যা অন্যতম কারণ।
১০ উইকেটে জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও বাটলার প্রশংসা করেছেন সেমিফাইনালে হার্দিক পাণ্ড্যর আগ্রাসী ইনিংসের। রবিবার ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন হার্দিক। মেনে নিয়েছেন, ভারতীয় অলরাউন্ডারের আগ্রাসী ইনিংস তাঁদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। সঙ্গে ছিল দর্শকদের চিৎকার। সেই পরিস্থিতি সামলাতেও বাটলারদের সাহায্য করেছে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা। উল্লেখ্য, ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিদেশের টি-টোয়েন্টি লিগ না খেলে শুধু আইপিএল খেলেই বার বার ব্যর্থ হচ্ছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।