পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পরে মাঠে নেমে কোহলিকে কাঁধে তুলেছিলেন রোহিত। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের মাঝেই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। এটাই কি শেষ বার বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাচ্ছে তাঁদের? না কি ২০২৪ সালেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন ভারতের সব থেকে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার? এই প্রশ্নের জবাব দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা।
চেতনের মতে, কোনও ক্রিকেটার যদি ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলেন তা হলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই নির্বাচকদের। একটি প্রতিযোগিতা চলাকালীন এই বিষয়ে কোনও ক্রিকেটারের সঙ্গে তিনি কথা বলেননি বলেই জানিয়েছেন চেতন।
সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত, কোহলির ভবিষ্যতের প্রসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটের নির্বাচক প্রধান বলেন, ‘‘বিশ্বকাপের মতো একটা প্রতিযোগিতার মাঝে তো কারও সঙ্গে কথা বলা যাবে না। বিশ্বকাপের মাঝে আমি কারও সঙ্গে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে রাজি নই। ওরা অনেক বড় ক্রিকেটার। যদি ওরা নিজেরা কিছু মনে করে তা হলে অবশ্যই আমাকে এসে বলবে।’’
রোহিত, কোহলির মতো ক্রিকেটার দলে থাকলে তাঁদের কাছে তরুণ ক্রিকেটাররা অনেক কিছু শিখতে পারবেন বলে মনে করেন চেতন। তিনি বলেন, ‘‘রোহিত, কোহলির কাছে বাকিরাও অনেক কিছু শিখতে পারে। আমি দেখেছি কী ভাবে তরুণদের সঙ্গে ওরা অনুশীলন করে। কোনও ম্যাচের আগে কী ভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়, কী ভাবে নিজেদের ফিট রাখতে হয় সেই সব বিষয়েও রোহিত-কোহলি তরুণদের নানা ভাবে সাহায্য করে। তাই বিশ্বকাপের মাঝে আমি কারও সঙ্গে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলব না।’’
বয়সের জন্য ভারতীয় দলে কারও দরজা বন্ধ হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন চেতন। তাঁর মতে, বয়স কেবলই একটি সংখ্যা। চেতন বলেন, ‘‘কারও জন্য দরজা বন্ধ হবে না। যদি কেউ নিজেকে ফিট রাখতে পারে তা হলে বয়স কেবলই একটা সংখ্যা। যদি কেউ দলের জন্য খেলতে পারে তা হলে নির্বাচকরা খুশি হয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে নেবে।’’
ভারতীয় দলের আর এক ক্রিকেটার যশপ্রীত বুমরাকে নিয়েও মুখ খুলেছেন চেতন। তাঁর মতে, বুমরাকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুগতে হয়েছে দলকে। সেই ভুল তিনি আর করতে চান না। বুমরাকে পুরোপুরি সুস্থ করেই ভারতীয় দলে ফেরাতে চাইছেন তাঁরা। প্রধান নির্বাচক বলেন, “বুমরাকে নিয়ে আমরা তাড়াহুড়ো করে ফেলেছিলাম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসছে বলেই সেটা করা হয়েছিল। দেখাই যাচ্ছে তাতে কী হল। বিশ্বকাপে বুমরাকে ছাড়া নামতে হল।”