টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে হলে ভারতের বিরুদ্ধে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। শাকিব আল হাসানের দলে চোট আঘাতের সমস্যা নেই। জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দলের জয় আত্মবিশ্বাসী করেছে বাংলাদেশকে। যদিও সেই ম্যাচের দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
দলের ইনিংস শুরু করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষ ম্যাচে তিনি ৫৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন। ভারতের বিরুদ্ধেও নাজমুলই শুরু করবেন বাংলাদেশের ইনিংস।
নাজমুলের সঙ্গে শুরু করবেন সৌম্য সরকার। শেষ ম্যাচে রান না পেলেও সৌম্য বাঁহাতি আগ্রাসী ব্যাটার। অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট। শুরুতে ডানহাতি-বাঁহাতি ভারসাম্য নষ্ট করতে চান না শাকিবরা।
ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে আসবেন লিটন দাস। বড় রান না পেলেও জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে শুরুটা ভাল করেছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বরে তাঁর উপর আস্থা রয়েছে অধিনায়ক শাকিবের।
চার নম্বরে ব্যাট করতে আসবেন শাকিব। বাংলাদেশের অধিনায়ক বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর খেলা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। দলের মূল চালিকা শক্তিই তিনি।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে আসবেন আফিফ হোসেন। তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার বেশ ভাল ছন্দে রয়েছেন। প্রয়োজনে অফ স্পিন বল করতে পারেন। বাংলাদেশ দলের ভারসাম্যের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর।
ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামবেন মোসাদ্দেক হোসেন। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও বড় রান না পেলেও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারেন ২৬ বছরের এই ক্রিকেটার। অফ স্পিনার হিসাবেও যথেষ্ট দক্ষ মোসাদ্দেক।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামবেন নুরুল হাসান। শাকিব না থাকলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন নুরুল। উইকেটের পিছনেও যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ বলা হয় তাঁকে।
আট নম্বর জায়গা নিয়ে কিছু চিন্তা রয়েছে বাংলাদেশের। তরুণ অলরাউন্ডার ইয়াসির আলি একদমই ছন্দে নেই। জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেও রান পাননি। তাঁর জায়গায় ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে পারেন অভিজ্ঞ মেহেদি হাসান মিরাজ।
ব্যাটিং অর্ডারের নয় নম্বরে নামবেন তাসকিন আহমেদ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে রয়েছেন এই জোরে বোলার। সকলেই তাঁর প্রশংসা করছেন। ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর খেলা নিশ্চিত।
তাসকিনের পর ব্যাট করতে আসবেন হাসান মাহমুদ। তরুণ জোরে বোলার এখনও পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়েছেন প্রতিযোগিতায়। ভাল ছন্দে রয়েছেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তৃতীয় জোরে বোলার হিসাবে তিনিই খেলবেন সম্ভবত।
বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের ১১ নম্বর জায়গা নিয়েও প্রশ্ন নেই। রয়েছেন অভিজ্ঞ জোরে বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। ভাল ছন্দে রয়েছেন মুস্তাফিজুর। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকে তিনি নেতৃত্ব দেন। ভারতের বিরুদ্ধেও তাঁকে দেখা যাবে একই ভূমিকায়।