—ফাইল চিত্র
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে ব্যাটিংয়ের উপর দোষ চাপালেন শাকিব আল হাসান। রবিবার ১৩৭ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তায় অধিনায়ক। ঠিক হয়নি ব্যাটিং অর্ডারও।
রবিবার শাকিব ব্যাট করতে নামেন সাত নম্বরে। দলের অন্যতম ভরসা তিনি। সেই শাকিব সাত নম্বরে নামায় প্রশ্ন ওঠে। ম্যাচ শেষে তিনি যদিও বলেন, “আমি উপরের দিকেই ব্যাট করব ভেবেছিলাম, কিন্তু সেই সময় দু’জন স্পিনার বল করছিল। সেই কারণে আমরা চাইছিলাম ডান এবং বাঁহাতি ব্যাটারকে ক্রিজে রাখতে।” টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে তাই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। দল যখন একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে সেই সময়ও শাকিব ব্যাট করতে নামলেন না দেখে অবাক সমর্থকরাও।
শাকিব নিজেও বুঝতে পারছেন ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা রয়েছে। তিনি ম্যাচ শেষে বলেন, “আমাদের ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি প্রয়োজন। সেটায় আমাদের আরও কাজ করতে হবে। দুটো ম্যাচ হেরে গেলে ইতিবাচক মানসিকতা রাখা কঠিন। সামনেই বিশ্বকাপ, এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে পরের দুটো ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে।”
ত্রিপাক্ষিক সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজ়িল্যান্ডের কাছেও হারল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করেন শাকিবরা। বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাটারই নিজের প্রতিভা বা দক্ষতার উপর সুবিচার করতে পারলেন না। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ২৯ বলে ৩৩ রান করলেও অন্য ওপেনার মেহদি হাসান মিরাজ় করলেন ৫ রান। তিন নম্বরে নেমে লিটন দাস করলেন ১৬ বলে ১৫ রান। আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে এল ২৬ বলে ২৪ রান। বড় রান পেলেন না শাকিবও। তিনি ১৬ বলে ১৬ রান করেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান বরং আট নম্বরে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেন। তাঁর ১২ বলে ২৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে রয়েছে একটি চার এবং দু’টি ছয়।
জবাবে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন নিউজ়িল্যান্ডের ব্যাটাররা। বিশেষ করে ওপেনার ডেভন কনওয়ে ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৫১ বলে ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ৭টি চার এবং ১টি ছয় দিয়ে। তাঁর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ২২ গজে ছিলেন গ্রেন ফিলিপস। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ২৩ রান করে। তিনি দু’টি করে চার এবং ছয় মারেন। এ ছাড়া ওপেনার ফিন অ্যালেন ১৮ বলে ১৬ রান এবং উইলিয়ামসন ২৯ বলে ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। উইলিয়ামসনকে আউট করেন তিনি। অ্যালেনকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৩৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল।