কাপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি টুইটার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে আসার আগে একেবারেই ফেভারিট ছিল না অস্ট্রেলিয়া। কোনও মতে সেমিফাইনালে ওঠা সেই দলই এখন বিশ্বসেরা। অস্ট্রেলিয়ার এই কীর্তির পিছনে হাত রয়েছে এক ভারতীয়ের। তিনি হরিয়ানার প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার প্রদীপ সাহু।
গত তিন বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত প্রদীপ। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার নেট বোলার এবং পরে তাদের সহকারী কোচ হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। মূলত লেগব্রেক গুগলি বোলার হিসেবে বিখ্যাত প্রদীপ অস্ট্রেলীয়দের স্পিন খেলায় পোক্ত করে তোলেন। সেই সাফল্যই দেখা গিয়েছে বিশ্বকাপে। বিভিন্ন দলের স্পিনারদের দুরন্ত ভাবে সামলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা।
এক ওয়েবসাইটে প্রদীপ বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ার সাপোর্ট স্টাফের সদস্য শ্রীধরণ শ্রীরামই সেই দলে আমাকে নিয়ে যায়। আমিরশাহিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি সিরিজের আগে দলে যোগ দিই। এরপর ভারত সিরিজ এবং আরও কিছু সিরিজে দলের সঙ্গে ছিলাম। ২০১৯ বিশ্বকাপ আমাকে সহকারী কোচ করা হয়।”
প্রদীপ সাহু। ফাইল ছবি
প্রদীপের সংযোজন, “যাদের মুখোমুখি হব, সেই দলের স্পিনারদের ভিডিয়ো খুঁটিয়ে দেখতাম। তারপর নেটে ওই বোলারদের মতো করে বল করতাম অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের। ২০১৯-এ ভারত সিরিজের আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে অনেক পরিশ্রম করি। কারণ লেগ স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দ ছিল না। ওর বিরুদ্ধে সাফল্য পেত যুজবেন্দ্র চহাল। চহালকে লং অন বা মিড উইকেটের উপর দিয়ে মারতে বারণ করেছিলাম ওকে। ওই সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ম্যাক্সওয়েল একটি ম্যাচে অর্ধশতরান এবং একটি ম্যাচে শতরান করে।”
২০১৩ থেকেই হরিয়ানা ছেড়ে মুম্বইয়ে রয়েছেন প্রদীপ। জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যেও তাঁকে চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু কোভিডের কারণে সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যা আয়োজকরা বেঁধে দেওয়ায় তিনি যেতে পারেননি। তবে ম্যাক্সওয়েল, ওয়ার্নাররা যে ভাবে অনায়াসে স্পিন খেলেছেন, তাতে প্রদীপের গুরুত্ব কোনও ভাবেই অস্বীকার করা যায় না।