হতাশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। ছবি: টুইটার থেকে।
পর পর দু’ম্যাচে হারল গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের পরে এ বার দক্ষিণ আফ্রিকাও সহজে হারাল তাদের। তার ফলে বিশ্বকাপের শুরুতেই বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়লেন গেলরা। অন্য দিকে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পরে জয়ের মুখ দেখল প্রোটিয়া শিবির।
টসে জিতে প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। শুরুটা ভাল করেন দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও এভিন লুইস। ধরে খেলেন তাঁরা। ফলে পাওয়ার প্লেতে উইকেট তুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণ। লুইস আক্রমণাত্মক খেললেও সিমন্সের শ্লথ ব্যাটিংয়ের ফলে রানের গতি কিছুটা কম থাকে। ১০ ওভারের পরে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে রাবাডার হলে আউট হন সিমন্স। ৩৫ বলে ১৬ করে আউট হন তিনি।
এক দিকে লুইস দ্রুত রান তুললেও অন্য দিকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। নিকোলাস পুরন, ক্রিস গেল রান পাননি। অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড লুইসের সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অর্ধশতরান করার পরেই কেশব মহারাজের বলে লুইস আউট হওয়ায় বড় রান গড়ার আশা শেষ হয়ে যায় ক্যারিবীয় দলের।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শেষ পর্যন্ত আট উইকেটে ১৪৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ডোয়েন প্রিটোরিয়াস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আন্দ্রে রাসেলের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন অধিনায়ক বাভুমা। যদিও তার পরে রিজা হেনড্রিক্স ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন জুটি বাঁধেন। লক্ষ্য অনুযায়ী ব্যাট করতে থাকেন তাঁরা। ব্যক্তিগত ৩৯ রানের মাথায় শিমরন হেটমায়েরের দুরন্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন হেনড্রিক্স।
চারে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বড় শট খেলা শুরু করেন এইডেন মার্করাম। কোনও বোলারই তাঁকে থামিয়ে রাখতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডুসেন ৪৩ ও মার্করাম ৫১ করে অপরাজিত থাকেন।