৩২ বলে ৭১ করলেন বাটলার। ছবি টুইটার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যত দিন যাচ্ছে, তত যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে ইংল্যান্ড। এমনিতেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তারা দাপট দেখায়। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে যেন অইন মর্গ্যানের দল আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। শনিবার ৫০ বল বাকি থাকতে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিল তারা। টানা তিনটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের দিকে এক পা বাড়িয়ে রাখল মর্গ্যানের দল।
টসে জিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়াকে। শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ছন্দে ফেরা ডেভিড ওয়ার্নার শনিবার ব্যর্থ। ক্রিস ওকসের বলে ১ রানে ফিরে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন স্টিভ স্মিথ (১), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৬) এবং মার্কাস স্টোয়নিসও (০)। ২১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমতো ধুঁকছে অস্ট্রেলিয়া।
সেই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ এবং ম্যাথু ওয়েড। দু’জনে মিলে ব্যাটিং ধস কিছুটা হলেও সামাল দেন। ৫১ রানের মাথায় ওয়েড (১৮) ফেরার পর ফিঞ্চের সঙ্গে জুটি গড়েন অ্যাশটন আগার। ২০ রান করে তিনি যখন ফেরেন, তখন অস্ট্রেলিয়ার রান ১০০-র কাছাকাছি। ফিঞ্চ ক্রমশ অর্ধশতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ বেলায় মারতে গিয়ে ৪৪ রানে ক্রিস জর্ডানের বলে ওকসের হাতে ধরা পড়েন। নির্ধারিত ওভারে ১২৫ রানে মুড়িয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। জর্ডান তিনটি এবং ওকস ও টাইমাল মিলস দু’টি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে এতটুকু সমস্যায় পড়তে হয়নি ইংল্যান্ডকে। শনিবার যেন দ্রুত ম্যাচ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলেন ইংরেজ ব্যাটাররা। প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার জেসন রয় (২২) এবং জস বাটলার। ৬ ওভারে ৬০-এর ওপর রান উঠে যায়। জেসন ফেরার পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটার দাভিদ মালান নামেন। তিনি অবশ্য ৮ রানের বেশি এগোতে পারেননি। তবে উল্টোদিকে থাকা বাটলার কোনও অস্ট্রেলীয় বোলারকেই রেয়াত করছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ৫টি চার এবং ৫টি ছয়ের সাহায্যে ৩২ বলে ৭১ রান করে দলকে জিতিয়ে দেন তিনি।