Bengal Cricket team

Syed Mustaq Ali Trophy: সুপার ওভারে হেরে  ছিটকে গেল বাংলা, বিদায় মেয়ে দলেরও

জয়ের সহজ রাস্তা কী ভাবে কঠিন করে তোলা যায়, তা হয়তো শিখিয়ে দিলেন বাংলার ব্যাটাররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৩৯
Share:

কর্ণাটকের নায়ক মণীশ পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত।

আশা জাগিয়েও নিরাশ করলেন বাংলার ক্রিকেটাররা। কর্নাটকের বিরুদ্ধে ফিরোজ শা কোটলার ব্যাটিং সহায়ক পিচে ১৬১ রান তাড়া করতে গিয়ে ম্যাচ টাই করেও সুপার ওভারে হেরে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল তারা। সেমিফাইনালে চলে গেল মণীশ পাণ্ডের কর্নাটক। একই দিনে বাংলার মেয়েদেরও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বিদায় নিতে হল। জাতীয় ওয়ান ডে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে। রানরেটে পিছিয়ে থাকায় বাংলার মেয়েদের যাত্রা থামল শেষ চারেই। ফাইনালে উঠল রেলওয়েজ।

Advertisement

জয়ের সহজ রাস্তা কী ভাবে কঠিন করে তোলা যায়, তা হয়তো শিখিয়ে দিলেন বাংলার ব্যাটাররা। মাত্র ১৬১ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ছ’ওভারেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। অভিষেক দাস এক বলে শূন্য করে ফেরার পরে ১০ বলে ২২ করে রান-আউট হয়ে যান শ্রীবৎস গোস্বামী। ৯ বলে ১২ রান করে মিড-অফ অঞ্চলে ক্যাচ তুলে ফিরে যান অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ও। যেখান থেকে ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও কাইফ আহমেদ ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন বাংলাকে। ৪০ বলে ৫১ করেন ঋত্বিক। ২৬ বলে ২০ রান কাইফের। বাঁ-হাতি স্পিনার জগদীশ সুচিত ১৪তম ওভার বল করতে এলে মাত্র দু’বলে পাল্টে যায় ম্যাচের রং। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড কাইফ। তৃতীয় বলে ব্যাট করতে আসেন শাহবাজ় আহমেদ। তাঁর উপর অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাঁ-হাতি স্পিনার সুচিতকে প্রথম বলেই ছয় মারতে গিয়ে শূন্য রানে ফিরে গেলেন। শেষ চারে ওঠার স্বপ্ন সেখানেই প্রায় চুরমার হয়ে যায় বাংলার। কোচ অরুণ লালও মনে করেন, পরপর দু’বলে কাইফ ও শাহবাজ়ের উইকেটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। হতাশ অরুণ লাল বলে ফেললেন, ‘‘কোনও ভাবনা-চিন্তাই দেখতে পেলাম না ছেলেদের মধ্যে। কাইফ ও শাহবাজ় পরপর দু’বলে আউট হওয়ায় সমস্যা বেড়ে গেল আমাদের।’’

তবুও ঋত্বিক রায়চৌধুরীর লড়াই শেষ ওভারেও বাংলা শিবিরে জেতার আশা তৈরি করেছিল। ছ’বলে ২০ রান প্রয়োজন ছিল বাংলার। ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বল ছয় মেরে আকাশ দীপকে স্ট্রাইক দেন ঋত্বিক। আকাশও প্রথম বলে চার মারেন। দু’বলে বাংলার জিততে তখন দরকার মাত্র তিন রান। পঞ্চম বলে ওভার থ্রো থেকে দু’রান পান আকাশ। এক বলে এক রান বাকি, শেষ বলে রান আউট হয়ে যান আকাশ। ম্যাচ যায় সুপার ওভারে। আশ্চর্যজনক ভাবে সুপার ওভারে ঋত্বিক রায়চৌধুরীর জায়গায় প্রথম বলে স্ট্রাইক নিতে দেওয়া হল কাইফ আহমেদকে। কে সি কারিয়াপ্পার বল বুঝতে না পেরে লং-অফে ক্যাচ দেন কাইফ। শ্রীবৎস নেমেই একটি চার মেরে আবারও রান-আউট হলেন। মাত্র পাঁচ রান করে দুই উইকেট হারায় বাংলা। যা অনায়াসে তুলে নেয় কর্নাটক। অন্য ম্যাচে কেরলকে পাঁচ উইকেটে হারাল তামিলনাড়ু।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement