বর্ণোজ্জ্বল: বুধবার শুরু গোলাপি টেস্ট। সেজেছে সিডনি।
সম্মানের অ্যাশেজ সিরিজ় ৩-০ ইতিমধ্যে জেতা হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। বাকি দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য সম্মান পুনরুদ্ধার করা। এই অবস্থায় বুধবার থেকে শুরু হতে চলা সিডনির চতুর্থ টেস্টের আগে খবরের শিরোনামে করোনা সংক্রমণ। সিডনির আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চতুর্থ টেস্টের প্রথম চার দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অস্ট্রেলিয়ার ৫-০ করা এড়াতে সেই বরুণদেব সহায় হতে পারেন ইংরেজদের। তার সঙ্গে করোনাও ভয় দেখাচ্ছে পুরোদমে।
করোনাভাইরাসের তাণ্ডব এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় এতটাই প্রকট যে, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া—দু’দলই কাবু সংক্রমণে। সিডনিতে ক্রমে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে সোমবারই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার মানুষ। আক্রান্ত স্বয়ং অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নিক হকলি। তিনি জানিয়েছেন, করোনা পরীক্ষার ফল ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। তার পরেই বাড়িতে নিভৃতবাসে চলে গিয়েছেন। ৫ জানুয়ারি সিডনিতে শুরু টেস্ট। গ্লেন ম্যাকগ্রার প্রয়াত স্ত্রী জেনের স্মৃতির উদ্দেশে নতুন বছরে সিডনিতে গোলাপি টেস্ট খেলা হয়। কিন্তু ম্যাকগ্রা নিজেও আক্রান্ত কোভিডে। তাই ‘পিঙ্ক টেস্ট’-এ থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড আক্রান্ত। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে থাকা মার্কাস হ্যারিসকে সিডনি টেস্টের বাইরে রাখা হয়েছে। ইংল্যান্ড শিবিরে চার জন আক্রান্ত বলে খবর। তার মধ্যে কোচ সিলভারউড আছেন। ফাস্ট বোলং কোচ জন লিইউস, স্পিন বোলিং কোচ জিতান পটেল, স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ ডারেন ভেনেসও আক্রান্ত বলে খবর। এঁরা কেউ সিডনি টেস্টে থাকতে পারবেন না। ইংল্যান্ডের কোচের দায়িত্ব পালন করবেন খুব সম্ভবত ব্যাটিং কোচ গ্রাহাম থর্প। অস্ট্রেলীয় বোর্ড প্রধানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে কোনও ক্রিকেটার ছিলেন না বলে জানানো হয়েছে। তাই তাঁর করোনা সংক্রমণে কোনও ক্রিকেটারকে এখনই নিভৃতবাসে পাঠানো হচ্ছে না।
চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগে থর্প বলেছেন, ‘‘ব্যাটারদের সতর্ক করে ভবিষ্যতেকী হতে পারে, তা বোঝানোর সময় এসে গিয়েছে। দলের তরুণর এখনও বুঝিয়ে চলেছি টেস্টে ব্যাটিংয়ের পদ্ধতি ও বিশেষত্ব। পরিস্থিতি বুঝে দলের রানকে যে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, সেটাই ওদের বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও কেউ কেউ চরম ব্যর্থ।’’
অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে ট্র্যাভিস হেড না থাকায় মিচেল মার্শ ও জস ইংলিসকে ডাকা হয়েছে। যদিও হেডের বদলে উসমান খোয়াজাকেই সিডনি টেস্টে দেখা যেতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী খোয়াজা বলেও দিয়েছেন, ‘‘হিডি (ট্র্যাভিস হেড) না থাকায় মাঠে নেমে শতরান করে দলের জয়ের ভিত তৈরি করতে হবে। এই মুহূর্তে যে ছন্দে রয়েছি, তাতে কাজটা কঠিন হবে না।’’
এ দিকে অভিজ্ঞ স্টুয়ার্ট ব্রডকে ইংল্যান্ড শিবির কেন বেশি ব্যবহার করল না এখনও, সে বিষয়ে অবাক প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া শিবির। যা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে স্টিভ স্মিথ জানিয়েছেন, প্রথম ও তৃতীয় টেস্ট অর্থাৎ ব্রিসবেন ও মেলবোর্নে পেসারেরা ভাল করেছে। সেখানে ব্রডকে কেন খেলানো হল না, তা বোধগম্য হয়নি তাঁর। স্মিথের কথায়, ‘‘আমরা এই ঘটনায় সকলেই খুব অবাক হয়েছিলাম। ব্রিসবেন ও মেলবোর্নের উইকেটে সফল হতেই পারত ব্রড। অ্যাডিলেডে তো ভালই বল করেছিল ও। ব্রডের সঙ্গে বাইশ গজে আমার দ্বৈরথ ভাল জমে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আমাকে বেশ কয়েক বার যেমন ব্রড আউট করেছে, তেমনই ওর বিরুদ্ধে আমি অনেক বার বড় রান করেছি।’’