ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহালি কি আদৌ আউট ছিলেন? প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন মনে করেন, বিরাট আউট ছিলেন না। শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ৩০তম ওভারে অজাজ় পটেলের বলে কোহালির বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউ-র আবেদন ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে বিরাট ডিআরএস নেন। টিভি রিপ্লেতে দেখে বোঝা যাচ্ছিল না, বিরাটের ব্যাট অথবা প্যাড, কোথায় বল আগে লেগেছে। সে রকম জোরালো কোনও প্রমাণ না থাকলেও তৃতীয় আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা আউট দিয়ে দেন বিরাটকে।
এর পরেই গণমাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ভন গণমাধ্যমে তাঁর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন, ‘‘নট আউট”। আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি গণমাধ্যমে লিখেছেন, “খুব দুর্ভাগ্যজনক আউট। বল কিন্তু আগে ব্যাট ছুঁয়েছিল, তার পরে প্যাডে লাগে। তবে বিরাটের মেজাজ হারানোও উচিত হয়নি।”
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে স্পষ্টতই অসন্তুষ্ট ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। মাঠ থেকে বেরোনোর আগে কোহালিকে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। এমনকী কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও ড্রেসিংরুমের টিভি স্ক্রিনে বিরাটের আউটের রিপ্লে দেখার পরে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
সেই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ভারতীয় দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন নিউজ়িল্যান্ডের বাঁ হাতি স্পিনার পটেল। তবে দলকে বিপন্মুক্ত করেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। যাঁর অপরাজিত সেঞ্চুরির(১২০) সুবাদে প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ২২১-৪। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দেন ঋদ্ধিমান সাহাও (অপরাজিত ২৫)। মায়াঙ্ক তাঁর ইনিংসের জন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং সুনীল গাওস্করকে। কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটারের ভিডিয়ো দেখে নিজের ব্যাটিং স্টান্সে সামান্য পরিবর্তন
করেন মায়াঙ্ক।
প্রথম দিনের খেলা শেষে মায়াঙ্ক বলেছেন, ‘‘যে দিন আমি প্রথম টেস্টের দলে নির্বাচিত হলাম, রাহুল ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। রাহুল ভাই বলেছিল, তোমার হাতে যা আছে সেটাই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করো। নিজের সেরাটা দাও।’’ মায়াঙ্ক আরও বলেছেন, ‘‘রাহুল ভাই বলেছিল, ক্রিজ়ে জমে যেতে পারলে যেন বড় রান করার চেষ্টা করি। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পেরে আমি খুব খুশি।’’
ইংল্যান্ডে অনুশীলনে নেমে তাঁর মাথায় চোট পাওয়ার প্রসঙ্গেও কথা বলেন মায়াঙ্ক। ‘‘ইংল্যান্ডে খেলতে পারিনি সেটা আমার দুর্ভাগ্য। চোট পাওয়া নিয়ে আমার কিছু করার ছিল না। সেটা মেনে নিয়েই আরও কঠোর পরিশ্রম করে গিয়েছি।’’
গাওস্কর এ দিন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলছিলেন মায়াঙ্ককে তিনি পরামর্শ দেন ব্যাকলিফ্ট ছোট করার ব্যাপারে। মায়াঙ্কও বলেন, তিনি প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের সাইড-অন স্টান্সের অনুকরণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ‘‘উনি আমায় বলেছিলেন ইনিংসের শুরুর দিকে আমার ব্যাটটা আর একটু নীচে রাখা উচিত। আমার ব্যাটটা উপরে তুলে রাখার একটা প্রবণতা রয়েছে। এত কম সময়ে এই নিয়ে নিজের ব্যাটিংয়ে এই পরিবর্তন করতে পারিনি। তবে লক্ষ্য করেছি ব্যাট করার সময় ওঁর কাঁধের অবস্থান কী রকম থাকে। সেটাই অনুকরণ করার চেষ্টা করেছি,’’ বলেন মায়াঙ্ক। এখনও ভারত খুব বড় স্কোর করতে পারেনি প্রথম ইনিংসে। যা নিয়ে মায়াঙ্ক বলেছেন, ‘‘শনিবার শুরুটা কেমন হয় সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’