অভিযান সোমবার অনুশীলনে ফুরফুরে মেজাজে হার্দিক। পিটিআই
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দারুণ একটা সিরিজ় জয় দিয়ে বছর শেষ করেছে ভারত। এ বার নতুন বছরটাও নিঃসন্দেহে ভাল ভাবে শুরু করতে চাইবে ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ জয় ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের দুরন্ত জয়গুলোর তালিকাতেই জায়গা করে নেওয়া উচিত। বাংলাদেশ সেরা দলগুলোর মধ্যে পড়ে না বলে ভারতের লড়াইকে ছোট করার বিন্দুমাত্র কোনও প্রশ্ন নেই। বিশেষ করে, শ্রেয়স আয়ার এবং আর অশ্বিনের।
ওরা এমন পরিস্থিতিতে লড়াই করছিল, যখন বিপক্ষ দল টগবগ করে ফুটছে। বাংলাদেশের স্পিনারদের বিরুদ্ধে এক একটা রান করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্রেয়স এবং অশ্বিন, দু’জনেই লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে ওই অবস্থায়। ধীরে ধীরে ওরা বাংলাদেশ বোলারদের তৈরি করা চাপ কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে।
শুরুটা করে শ্রেয়স। অফসাইডে তুলে মারা একটা ড্রাইভ দিয়ে। ওই শটের পরে বোলাররা বাধ্য হয়ে শর্ট বল করা শুরু করে। যার সুযোগ প্রথমে শ্রেয়স এবং পরে অশ্বিন নেয়। অনায়সে রান তুলতে শুরু করে ওরা। খুব অঙ্ক কষে ব্যাট করে যায় শ্রেয়স-অশ্বিন। ওদের খেলা দেখতেও খুব ভাল লাগছিল।
নতুন বছরের প্রথম মাসটা পুরো সাদা বলের ক্রিকেট দেখা যাবে। ভারতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এখন এক জন নতুন অধিনায়ক পেয়েছে। নানা শিবির থেকে ভেসে আসা নানা মন্তব্য সত্ত্বেও একটা কথা পরিষ্কার ভাবে বলে দেওয়া দরকার। যত তাড়াতাড়ি এটা মেনে নেওয়া যাবে যে, এই ছেলেটাই ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব নেবে, ততই মঙ্গল। একটা উত্তেজক, আগ্রাসী, জয়ের মানসিকতা নিয়ে আসে হার্দিক পাণ্ড্য। যেটা দলের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। হ্যাঁ, এই ফর্ম্যাটে মাঝে মাঝেই প্রত্যাশা মতো ফল পাওয়া যাবে না। ম্যাচ হারতে হবে। কিন্তু সেই হার দলের মনোবলে ধাক্কা দিয়ে যাবে না। কারণ, হার্দিক দারুণ ভাবে একটা দলকে তাতিয়ে তুলতে পারে।
শ্রীলঙ্কা খুব কঠিন একটা প্রতিপক্ষ। ওদের প্রিমিয়ার লিগ সবে শেষ হয়েছে। যে কারণে ওরা ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় থাকবে। ওদের দলে দারুণ কিছু ক্রিকেটার আছে, যারা যে কোনও ভাবে খেলার ছবিটা বদলে দিতে পারে। ভারত ভালই জানে, একটা লড়াকু দলের সামনে পড়তে হচ্ছে ওদের।
ঋষভ পন্থের দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা একটা বড় ধাক্কা। কামনা করি, ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। পাশাপাশি আশা করব, এই বছরটা পাঠকদের জন্য খেলাধুলোর দারুণ সব মুহূর্ত নিয়ে আসবে। (টিসিএম)