সুনীল গাওস্কর। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ‘কালো ঘোড়া’ হিসেবে দেখছেন কিংবদন্তি সুনীল গাওস্কর। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ানস যে জয়ের দাবিদার, তা মানছেন প্রাক্তন অধিনায়ক।
কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ও মেন্টর গৌতম গম্ভীরের মধ্যে বোঝাপড়া দলকে অনেক দূর এগিয়ে দেবে বলেই মনে করছেন সানি। তিনি বলেছেন, ‘‘পণ্ডিত ও গম্ভীর দু’জনেই মানসিক ভাবে খুবই শক্তিশালী। ওরা আলোচনা করার পরে যে পরামর্শ দেবে, তা দলের সকলকে উপকৃত করবে।’’
গম্ভীর ও পণ্ডিত যদি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারেন, তা হলে কেকেআরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গাওস্কর। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা যদি একসঙ্গে দলটির দায়িত্ব নেয়, তা হলে চ্যাম্পিয়ন হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। দু’জনের ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক অসাধারণ। তা ছাড়া গম্ভীরের নেতৃত্বেই শেষ বার ট্রফি পেয়েছে কেকেআর। মেন্টর হিসেবে ওকে ফিরিয়ে আনার নেপথ্যে যথেষ্ট কারণ আছে।’’
এ দিকে আইপিএলের জন্য কঠোর পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছেন ঋষভ পন্থ। একটি মুখোশ পরে জিমে কসরত করতে দেখা যায় তাঁকে। দিল্লি ক্যাপিটালসকে এ বারও নেতৃত্ব দেবেন পন্থ। কিন্তু তিনি হয়তো উইকেটকিপিং করবেন না।
২০২২ ডিসেম্বরে গাড়ি দুর্ঘটনার পরে আদৌ প্রথম সারির ক্রিকেট খেলতে পারবেন কি না ছিল প্রশ্ন। কিন্তু ঋষভ হাল ছাড়েননি। তাঁর এই লড়াই অনুপ্রেরণা হয়ে থেকে যাবে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে। রিকি পন্টিংও বলেছিলেন, ‘‘ঋষভ যে ভাবে মূল স্রোতের ক্রিকেটে ফিরতে শুরু করেছে, তা সকলের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে থেকে যাবে। ম্যাচে হার-জিত থাকে। কিন্তু জীবনযুদ্ধে জিতে ফিরে এসেছে ও।’’ যোগ করেন, ‘‘ওর এই যাত্রা থেকে আমাদের সকলের শেখা উচিত। আশা করি, এ বারের আইপিএলে ভাল ছন্দে থাকবে ঋষভ।’’
দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তিন মাস আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, আইপিএলে কিপিং করবেন না পন্থ। কিন্তু তাঁকে উইকেটকিপিং অনুশীলন করতেও দেখা যাচ্ছে। এমনিতে দিল্লি দলে রয়েছেন তিন জন কিপার। অভিষেক পোড়েল, কুমার কুশাগ্র ও ট্রিস্টান স্টাবস। অনেকেই তাই মনে করছেন দুর্ঘটনা থেকে ফিরে এসে উইকেটকিপিংয়ের ধকলটা নেওয়ার প্রয়োজন নেই পন্থের। ঋষভ নিজে কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।