(বাঁ দিকে) অংশুমান গায়কোয়াড় এবং সুনীল গাওস্কর (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
প্রাক্তন ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর। গায়কোয়াড়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে গাওস্কর বলেন, “ভারতের হয়ে খেলা তিন সাহসী খেলোয়াড়ের মধ্যে অন্যতম ছিল গায়কোয়াড়।”
দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারে ভোগার পর বুধবার ৭১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গায়কোয়াড়। গাওস্কর বলেন, “ভারতীয় ক্রিকেটের তিন সাহসী ক্রিকেটার একনাথ সোলকার, মোহিন্দর অমরনাথ এবং অংশুমান গায়কোয়াড়ের সঙ্গে খেলতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমরা নরি কনট্র্যাক্টরের সাহসের কথা শুনেছি। কী ভাবে তিনি ভাঙা পাঁজর নিয়ে লর্ডসে ৮১ রান করেছিলেন। উদীয়মান ক্রিকেটারদের সেই ঘটনা অনুপ্রেরণা দেয়। কী ভাবে দেশের হয়ে সর্বস্ব দিয়ে লড়তে হয়, সেটাই এক্কি (একনাথ), জিমি (মোহিন্দর) এবং চার্লি (অংশুমান) দেশের হয়ে খেলার সময় করেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “মন খারাপ করে দেওয়ার মতো খবর। চার্লি দেখিয়ে দিল, বিনা লড়াইয়ে সে জীবনের উইকেটও ছুড়ে দেবে না। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেল। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি।”
চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন গায়কোয়াড়। মাসখানেক আগে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে। নিজের শহর বরোদাতেই তার পর থেকে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সেখানেই মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জয় শাহ। ২২ বছরের ক্রিকেটজীবনে দেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলেছেন গায়কোয়াড়। ১৯৭৪ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় তাঁর। ৪০টি টেস্টে ৩০.০৭ গড়ে ১৯৮৫ রান করেছেন। শতরান করেছেন দু’টি, অর্ধশতরান ১০টি। সর্বোচ্চ রান ২০১। মোট ১৫টি এক দিনের ম্যাচও খেলেছেন তিনি। ২০.৬৯ গড়ে ২৬৯ রান করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০৬টি ম্যাচে ১২১৩৬ রান করেছেন। শতরান রয়েছে ৩৪টি।