ছন্দে: বুধবার আমদাবাদে ৮৩ বলে ৬৪ করার পথে সূর্য। ছবি: টুইটার।
দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ভারতকে খুব বেশি রান তুলতে দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। কিন্তু বোলারদের লড়াইয়ে জল ঢেলে দিল ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা।
আমদাবাদের এই পিচে বেশ বাউন্স ছিল। বল ভাল মতোই উইকেটকিপারের কাছে যাচ্ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভাল বল করে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। ওদের সামনে সমস্যায় পড়েছিল ভারতীয় ব্যাটাররা। লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বল করে গেল ওরা। শর্ট বলটাও দারুণ কাজে লাগিয়েছে। ফিল্ডারদের কাছ থেকে সাহায্য পেলে ওরা ভারতকে ২৩৭ রানের আরও কমে আটকে রাখতে পারত। মাঝে মাঝে এক-আধটা ক্যাচ পড়ল, মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ফিল্ডিং করার সময় কয়েক জনের মধ্যে একটু উৎসাহের অভাব দেখা গেল। যা এই পর্যায়ের ক্রিকেটে আশা করা যায় না।
দলে কে এল রাহুল থাকা সত্ত্বেও ঋষভ পন্থকে দিয়ে ওপেন করিয়ে চমকে দেয় ভারত। নতুন বলের সামনে পন্থকে বেসামাল দেখিয়েছে। ভারত এই পরীক্ষা পরের ম্যাচেও চালিয়ে যায় কি না, সেটাই দেখার। সিরিজ় ভারতের দখলে চলে আসার ফলে এই পরীক্ষা চালানোর অবশ্যই একটা সুযোগ আছে। কিন্তু আমার মতে, এই ধরনের পরীক্ষা ভবিষ্যতের কথা ভেবেই করা উচিত। না হলে এতে শুধু শুধু ক্রিকেটারেরা বিভ্রান্ত হবে আর এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা আসবে।
সূর্যকুমার যাদব আবার দারুণ মানসিকতার পরিচয় দিল। ভারত যখন সমস্যায়, তখন ও আর কে এল রাহুল মিলে পরিস্থিতি সামাল দিল। ওদর এই জুটির কারণেই ভারতের ইনিংস দু’শোর কমে থেমে যায়নি। দীপক হুডাও ওর প্রতি আস্থার মর্যাদা দিল ঠান্ডা মাথার একটা ইনিংস খেলে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ওভার করতে এসেই একটা উইকেট তুলে নিল।
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দুরন্ত বল করল। পিচের বাউন্সটাকে দারুণ ভাবে কাজে লাগাল এই পেসার। মাত্র ১২ রান দিয়ে তুলে নিল চার উইকেট। প্রসিদ্ধ, মহম্মদ সিরাজ এবং শার্দূল ঠাকুরের গতির সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের নাজেহাল হতে দেখে খুব ভাল লাগল।
নিজেদের যে ওষুধটা হজম করতে হয়, সেটাই যখন বিপক্ষ দলকে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তখন তার চেয়ে ভাল দৃশ্য আর কী হতে পারে। (টিসিএম)