সুনীল গাওস্কর। —ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে মুম্বইয়ের রঞ্জি দল থেকে বাদ পড়েছেন পৃথ্বী শ। বাদ পড়ার কারণ হিসাবে তাঁর শৃঙ্খলাভঙ্গ, ফিটনেসের অভাব এবং ফর্মে না থাকার কথা শোনা গিয়েছে। তার পর থেকে অনেকেই বিদ্রুপ করছেন পৃথ্বীর চেহারা নিয়ে। তাতে ক্ষুব্ধ সুনীল গাওস্কর। ওপেনিং ব্যাটারের পাশে দাঁড়িয়ে মুম্বইয়েরই অন্য এক ব্যাটারের উদাহরণ দিয়েছেন গাওস্কর।
পৃথ্বীকে নিয়ে মুম্বইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট অসন্তুষ্ট। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে রিপোর্ট দিয়েছেন মুম্বইয়ের কোচও। জানা গিয়েছে, পৃথ্বীর ফিটনেস নিয়ে সবচেয়ে অখুশি তিনি। পৃথ্বীর শরীরের ৩৫ শতাংশের বেশি মেদ বলে জানিয়েছেন মুম্বই কোচ। এই যুক্তিতে ক্ষুব্ধ গাওস্কর। পৃথ্বীর পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘পৃথ্বীকে দল থেকে বাদ দেওয়ার নানা কারণ শোনা যাচ্ছে। আচরণ, মানসিকতা, শৃঙ্খলা অনেক কিছু শুনছি। এই অভিযোগগুলো ঠিক আছে। আশা করি, ওকে শুধু শরীরের ওজনের জন্য বাদ দেওয়া হয়নি।’’ গাওস্কর আরও বলেছেন, ‘‘শুনছি ওর শরীরের নাকি ৩৫ শতাংশের বেশি মেদ। আমরা বেঙ্গালুরু টেস্ট দেখেছি। সেই ম্যাচে খেলা সরফরাজ় খানের শরীরের ওজন এবং আকৃতি নিয়েও নানা রকম কথা হয়। সরফরাজ় কিন্তু ১৫০ রানের দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলেছে। এর থেকেই প্রমাণ হয় ভুঁড়ির মাপ এবং আকৃতি দিয়ে এক জন ক্রিকেটারের ফিটনেস মাপা যায় না।’’
গাওস্করের মতে, এক জন ক্রিকেটার মাঠে কেমন পারফর্ম করছে সেটাই বিচার্য হওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, ‘‘এক জন মাঠে নেমে এক দিনে ব্যাট হাতে ১৫০ রানের ইনিংস খেললে বা ২০ ওভারের বেশি বল করলে কী বলার থাকে! এক জন ক্রিকেটারকে বিচার করার এটাই এক মাত্র মাপকাঠি হওয়া উচিত। যে ক্রিকেটারদের শরীর সম্পূর্ণ মেদহীন বা সামান্য মেদ রয়েছে, তাদের ক’জন পৃথ্বীর মতো ৩৭৯ রানের ইনিংস খেলেছে? আমার কাছে এটাই ফিটনেস।’’ পৃথ্বীর মতো সরফরাজ়ও মুম্বইয়ের হয়ে খেলেন।
গত তিন মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে চারটি শতরান করেছেন পৃথ্বী। ২০২২-২৩ মরসুমে অসমের বিরুদ্ধে ৩৭৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেই অসমের বিরুদ্ধে ম্যাচের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পৃথ্বীকে। উল্লেখ্য, রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের কোনও ব্যাটারের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড পৃথ্বীর দখলে।