জুটি: অ্যাডিলেড টেস্টে ফিরতে পারেন ব্রড ও জিমি। ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে জিমি অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছাড়া খেলতে নেমে শোচনীয় ভাবে হেরেছিল ইংল্যান্ড। প্রথম এগারো বাছা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল ইংল্যান্ডের দল পরিচালন সমিতি। এ বার দ্বিতীয় টেস্টের আগে ইংল্যান্ড জানিয়ে দিল অ্যান্ডারসন এবং ব্রড, দু’জনেই সুস্থ।
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অ্যাডিলেডে শুরু দিনরাতের গোলাপি বলের টেস্ট। তার আগে ইংল্যান্ডের কোচ ক্রিস সিলভারউড সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, দু’জনেই খেলার মতো ফিট হয়ে গিয়েছে। দু’জনেই খেলার জন্য মুখিয়ে আছে। তবে আমি ওদের কাউকে এখনও বলিনি, তুমি খেলছ।’’
সাধারণত ইংল্যান্ড তাদের দুই অভিজ্ঞ এবং সবচেয়ে সফল পেসার ব্রড এবং অ্যান্ডারসনের মধ্যে এক জনকে খেলায়, অন্য জনকে বিশ্রাম দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের তিন পেসার ছিলেন অলি রবিনসন, ক্রিস ওক্স এবং মার্ক উড। সঙ্গে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। কিন্তু রবিনসন বাদে কেউ সে রকম দাগ কাটতে পারেননি। এ বার দেখার, সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেস জুটিকে ইংল্যান্ড অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে ফিরিয়ে আনে কি না।
অ্যাডিলেডে আবার গোলাপি বলের দ্বৈরথ। যেখানে দিনরাতের টেস্টে অস্ট্রেলিয়া অপ্রতিরোধ্য। সিলভারউড অবশ্য জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড ইতিমধ্যেই দিনরাতের টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। জো রুটদের কোচ বলেছেন, ‘‘আমরা গোলাপি বলে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই। আমাদের হাতে ভাল দক্ষতাসম্পন্ন বোলার আছে। আমাদের দলে প্রতিভার অভাব নেই। তার উপরে দুটো সেরা তাস রয়েছে আস্তিনে।’’ কোচের ইঙ্গিত অবশ্যই ব্রড-অ্যান্ডারসনের দিকে।
ইংল্যান্ডের দুই বর্ষীয়ান পেসার সুস্থ হয়ে উঠলেও অস্ট্রেলিয়া কিন্তু ধাক্কা খেয়েছে অ্যাডিলেড টেস্টের আগে। ছন্দে থাকা পেসার জস হেজ়্লউড চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন দল থেকে। অনিশ্চিত ডেভিড ওয়ার্নারও। শোনা যাচ্ছে, হেজ়্লউডের জায়গায় দলে আসতে পারেন আর এক সুইং বোলার ঝাই রিচার্ডসন।
প্রথম টেস্টে ন’উইকেটে হারার পরেও সিলভারউড মনে করছেন তাঁদের মনোবলে ধাক্কা লাগেনি। তিনি বলেছেন, ‘‘ম্যাচের পরে আমরা ড্রেসিংরুমে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। অতীত ভুলে এ বার সামনে এগোতে চাই। অবশ্যই আমাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে। যেমন ক্যাচগুলো ঠিকঠাক ধরা আর ব্যাটিংয়ের সময় বড় জুটি গড়া।’’
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটার এবং প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং এর আগে বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের পক্ষে চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন হতে চলেছে সিরিজ়ের পরের দিককার ম্যাচগুলোয়। দ্রুত উন্নতি না করলে রুটরা ০-৫ ফলে অ্যাশেজ হারতে পারেন। সিলভারউড অবশ্য ফিরে আসার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের দলে সবাই ভাল ক্রিকেটার। ওদের ক্ষমতা আছে বড় রান করার আর উইকেট নেওয়ার। যে কোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টক্কর দেওয়ার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আর সেটাই আমরা করব।’’