বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে জ়িম্বাবোয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জ়িম্বাবোয়ের ইনিংস শেষ হয় ২২.৫ ওভারে ৯৬ রানে। জবাবে ১৬.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৯৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ। চোট সারিয়ে সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে প্রথম ম্যাচেই নজির গড়লেন শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনার। তিনি গত বছর আইপিএলে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে ছিলেন। এ বার তাঁকে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে ১৯ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন হাসরঙ্গ। তাঁর স্পিন বুঝতেই পারেননি জ়িম্বাবোয়ের ব্যাটারেরা। হাসরঙ্গের দাপটেই ধস নামে সফরকারীদের ইনিংসে। অথচ প্রথম উইকেটের জুটিতে ৪০ রান তুলেছিল জ়িম্বাবোয়ে। সেখান থেকে ৯৬ রানে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। দলকে জেতানোর পাশাপাশি, এক দিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে পঞ্চম সেরা বোলিং করেছেন লেগ স্পিনার।
এক দিনের ক্রিকেটে সেরা বোলিংয়ের কৃতিত্ব রয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন জোরে বোলার চামিন্ডা ভাসের দখলে। তিনি ২০০১ সালে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেই ১৯ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। পাক অলরাউন্ডার ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ১২ রান খরচ করে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন জোরে বোলার ২০০৩ সালে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ১৫ রানে ৭ উইকেট নেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ১৮ রান খরচ করে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। হাসরঙ্গর কৃতিত্ব এই তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকল। যা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা।
গত বছর লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন হাসরঙ্গ। খেলতে পারেননি এক দিনের বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে দেখিয়ে দিলেন তাঁর স্পিন দক্ষতায় মরচে ধরেনি। একাই শেষ করে দিতে পারেন প্রতিপক্ষের ইনিংস।