চর্চায়: বাড়তি চাপ নিচ্ছেন না ডি’কক। —ফাইল চিত্র।
বাইপাসের ধারে টিম হোটেলে ঢোকার আগেই বড় একটি পোস্টার দেখা যাবে রাস্তার উপরে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, হার্দিক পাণ্ড্যরা রয়েছেন সেই পোস্টারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে ভারতীয় দলের সকলে এলেও দেখা গেল না হার্দিক পাণ্ড্যকে। কলকাতার টিম হোটেলে নতুন শাল দিয়ে বরণ করা হয় বিরাট কোহলিদের। কিংবদন্তির জন্মদিন বিশেষ স্মরণীয় করে রাখার প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন হোটেলকর্মীরা।
ভারতীয় দলের খাদ্যতালিকা হাতে চলে এসেছে হোটেল কর্তৃপক্ষের। সেই অনুযায়ী বিরাটদের জন্য থাকছে নানা রকম পদ। তাতে বাংলার ছোঁয়াও রয়েছে। যদিও ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচকে কেন্দ্র করে ইডেনের বাইরে যেমন দর্শকদের ভিড় দেখা গেল, তার একাংশও চোখে পড়ল না হোটেলের বাইরে। হয়তো অনেকেই জানেন না বিরাটরা কোন হোটেলে রয়েছেন। আসলে বিরাট-ভক্তদের অনেকেই ম্যাচের টিকিট হাতে পাননি। সেই নিয়ে ব্যস্ততার মাঝে হোটেলের সামনে কেউ আর ভিড় করতে পারেননি।
ইডেনের ম্যাচে বিরাটের উপর যেমন নজর থাকবে, ঠিক ততটাই নজর কাড়বেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি’কক। চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। বলে দিয়েছেন, এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ।কিন্তু ডি’কক কি সত্যি বিশ্বকাপের পরে অবসর নেবেন? কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার টিম হোটেলে সে দেশের সাংবাদিকদের সামনে অন্য ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন ডি’কক। তিনি বলেন, ‘‘আমি এই সিদ্ধান্ত থেকে হয়তো নড়ব না। ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলার আর ইচ্ছে নেই।’’ যোগ করেন, ‘‘এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে না আর এই ফর্ম্যাট করব। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে তা কে বলতে পারে? অনেক রকম অদ্ভুত ঘটনাই তো জীবনে ঘটে। কিন্তু আপাতত ফিরে আসা নিয়ে ভাবছি না।’’
ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচকে অনেকেই বিশ্বকাপ ফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সাল’ হিসেবে দেখছেন। যা নিয়ে ডি’কক বলেন, ‘‘আর পাঁচটি ম্যাচের মতোই দেখছি। ভারতের বিরুদ্ধে নামছি বলেই অতিরিক্ত চাপ নিতে চাই না।’’
বিরাটের পাশাপাশি মহম্মদ শামিকে দেখার জন্যও এ দিন ভিড় করেন হোটেলকর্মীরা। তিন ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন শামি। তাঁর বোলিং দেখে বিশ্বকাপ জয়ী বোলার মদন লাল বলছিলেন, ‘‘একেবারে টেস্ট ম্যাচের লাইনে বল করছে শামি। ব্যাটসম্যানকে শট খেলার জায়গা-ই দিচ্ছে না। উইকেটের সোজাসুজি বল রাখছে। শেষ মুহূর্তে বল কাট করায় ব্যাটসম্যান খেই খুঁজে পাচ্ছে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গ্লেন ম্যাকগ্রা একেবারে এই লাইনেই সারা দিন বল করে যেত। ওর মধ্যে ম্যাকগ্রার ছায়া
দেখতে পাচ্ছি।’’