মায়াঙ্ক আগরওয়াল। —ফাইল চিত্র।
দলীপের ফাইনালে ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছেই। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১৩ রানে ১০ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। রান পেয়েছিলেন এক মাত্র হনুমা বিহারী। তাঁদের দ্বিতীয় ইনিংসেও ভোগাচ্ছে ব্যাটিং। হনুমা এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল শুরুটা ভাল করলেও বড় রান করতে ব্যর্থ। যদিও পশ্চিমাঞ্চল নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৬ রানে শেষ হয়ে যাওয়ায় ম্যাচের রাশ এখনও দক্ষিণাঞ্চলের হাতেই।
দলীপ ট্রফির ফাইনালে তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণাঞ্চল এগিয়ে রয়েছে ২৪৮ রানে। তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনার মায়াঙ্ক ৩৫ রান করে আউট হয়ে যান। ভারতীয় দলে একসময় নিয়মিত ওপেন করতেন তিনি। কিন্তু সেই জায়গা হারিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে ফিরে আসার সুযোগ থাকলেও তাঁর ব্যাটে ধারাবাহিকতা নেই। বড় রান করতে পারছেন না মায়াঙ্ক। প্রায় একই অবস্থা হনুমারও। অজিঙ্ক রাহানে দল থেকে বাদ পড়ার পর ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের ভরসা হতে পারতেন তিনি। কিন্তু হনুমাও বড় রান পাচ্ছেন না। প্রথম ইনিংসে ৬৩ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গেলেন হনুমা।
দক্ষিণাঞ্চলের বাকি ব্যাটারদের মধ্যে রিকি ভুঁই ৩৭ রান করলেন। সচিন বেবি করেন ২৮ রান। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং বিজয়কুমার ব্যশক। তাঁরা দলের লিড আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
উল্টো দিকে পশ্চিমাঞ্চল দ্রুত ফেরাতে চাইবে ওয়াশিংটনদের। হাতে দু’দিন রয়েছে। তাই দক্ষিণাঞ্চলকে অল্প রানে আটকে রেখে সেই রান তুলে সরাসরি জেতার চেষ্টা করতে হবে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকা পশ্চিমাঞ্চলকে। সেই দলে পৃথ্বী শ, চেতেশ্বর পুজারা, সূর্যকুমার যাদব, সরফরাজ খানের মতো ক্রিকেটারেরা রয়েছেন। প্রথম ইনিংসে তাঁরা বড় রান করতে ব্যর্থ হলেও শেষ ইনিংসে ম্যাচ জেতাতেই পারেন তাঁদের কেউ।