শতরান করে ব্য়াট তুলছেন দক্ষিণাঞ্চলের রোহন কুন্নুমাল (ডান দিকে)। পাশে অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ছবি: টুইটার
যোগ্য দল হিসাবে দেওধর ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল দক্ষিণাঞ্চল। গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে একটি ম্যাচেও হারেনি তারা। অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হলেন মায়াঙ্ক আগরওয়ালেরা। ফাইনালে পূর্বাঞ্চলকে ৪৫ রানে হারাল দক্ষিণাঞ্চল। অনেক লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত রানার্স হিসাবেই সন্তুষ্ট থাকতে হল পূর্বাঞ্চলকে।
ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণাঞ্চল। ওপেনিং জুটিই খেলা পূর্বাঞ্চলের হাতের বাইরে নিয়ে যায়। অধিনায়ক মায়াঙ্কের সঙ্গে রোহন কুন্নুমাল ১৮১ রান যোগ করেন। তাও ২৫ ওভারের মধ্যে। ফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে শতরান করেন কুন্নুমাল। মাত্র ৭৫ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অধিনায়ক মায়াঙ্ক করেন ৬৩ রান।
তিন নম্বরে নেমে সাই সুদর্শন রান না পেলেও মিডল অর্ডারের দলকে টানেন নারায়ণ জগদীশন। অর্ধশতরান করেন তিনি। রোহিত রায়ডু ও সাই কিশোর শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রান করে দক্ষিণাঞ্চল। ২২ রান অতিরিক্ত দেন পূর্বাঞ্চলের বোলারেরা। শাহবাজ় আহমেদ, রিয়ান পরাগ ও উৎকর্ষ সিংহ ২টি করে এবং মুরাসিংহ ও আকাশ দীপ ১টি করে উইকেট নেন।
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব খারাপ করে পূর্বাঞ্চল। ১৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায়। অভিমন্যু ঈশ্বরণ, উৎকর্ষ ও বিরাট সিংহ রান পাননি। অধিনায়ক সৌরভ তিওয়ারির সঙ্গে জুটি বাঁধেন সুদীপ ঘরামি। সৌরভ ২৮ রান করেন। সুদীপ ৪১ রান করে আউট হন। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ায় বড় জুটি হচ্ছিল না পূর্বাঞ্চলের।
হঠাৎ ছবিটা বদলে যায়। ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকেন রিয়ান ও কুমার কুশাগ্র। রিয়ান বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। পূর্বাঞ্চলের ক্রিকেটারদের মনে জয়ের আশা তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কুশাগ্র ৬৮ রান করে আউট হন। রিয়ান ৬৫ বলে ৯৫ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হলে জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় পূর্বাঞ্চলের।
৪৬.১ ওভারে ২৮৩ রানে অল আউট হয়ে যায় পূর্বাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নেন সুন্দর। বিদ্বৎ কাবেরাপ্পা, বাসুকি কৌশিক ও বিজয়কুমার বিশাখ ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন সাই কিশোর।