দলীপ ট্রফি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিকেটারেরা। ছবি: পিটিআই
দলীপ ট্রফি ফাইনালে হেরে গেল শক্তিশালী পশ্চিমাঞ্চল। চেতেশ্বর পুজারা, সূর্যকুমার যাদব, পৃথ্বী শ, সরফরাজ খান, প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চালের মতো তারকা ক্রিকেটার দলে থাকা সত্ত্বেও হনুমা বিহারির দক্ষিণাঞ্চলের কাছে ৭৫ রানে হারল পশ্চিমাঞ্চল।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চলের ২১৩ রানের জবাবে পশ্চিমাঞ্চলের ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল ১৪৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বিহারিরা ২৩০ রান করায় প্রিয়ঙ্কের দলের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৮ রান। কিন্তু ২২২ রানেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের ইনিংস। শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ নিয়েও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলেন না প্রিয়ঙ্কেরা। দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হলেন পুজারা (৯ এবং ১৫), সূর্যকুমারেরা (৮ এবং ৪)। প্রথম ইনিংসে রান না পাওয়া সরফরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ৪৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ভাল খেললেন অধিনায়ক প্রিয়ঙ্কও। ৫ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হল তাঁর। তবু দলকে জেতাতে পারলেন না ২২ গজে সঙ্গীর অভাবে। প্রথম ইনিংসে ৬৫ রান করা পৃথ্বীও (৭) ব্যর্থ দ্বিতীয় ইনিংসে। সরফরাজ এবং প্রিয়ঙ্ক ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে দু’অঙ্কের রান করলেন শুধু বাঁহাতি স্পিনার ধর্মেন্দ্র সিংহ জাডেজা (১৫)।
দক্ষিণাঞ্চলের বোলিং আক্রমণের সামনে প্রথম থেকেই ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাতে শুরু করে পশ্চিমাঞ্চল। পঞ্চম উইকেটে জুটিতে প্রিয়ঙ্ক এবং সরফরাজ ৯৮ রান তুললেও বলার মতো আর কোনও জুটি গড়তে পারেননি তাঁরা। ফলে কখনও জেতার মতো পরিস্থিতিও তৈরি করতে পারেননি। সরফরাজ দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় আউট হওয়ার পর আবার ভেঙে পড়ে পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাটিং।
শনিবার খেলা শেষ হওয়ার সময় পশ্চিমাঞ্চলের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৮২। অপরাজিত ছিলেন প্রিয়ঙ্ক এবং অতীত শেঠ। রবিবার সকালে ৪০ রানের মধ্যেই বাকি ৫ উইকেট হারাল পশ্চিমাঞ্চল। প্রিয়ঙ্ককে খেলার শেষ দিনের শুরুতে বিদ্বাথ কাভেরাপ্পা আউট করার পর প্রায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাঁর দলের সব প্রতিরোধ।
বিহারির দলের সফলতম বোলার বাসুকি কৌশিক। পৃথ্বী, পুজারা এবং সূর্যকুমারকে আউট করে প্রতিপক্ষকে ইনিংসের ভিত তৈরিই করতে দিলেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁর সংগ্রহ ৩৬ রানে ৪ উইকেট। সাফল্য পান সাই কিশোরও। তিনি ৪ উইকেট নেন ৫৭ রান খরচ করে।
ব্যাটিং শক্তির বিচারে পশ্চিমাঞ্চল এগিয়ে থাকলেও দলগত শক্তিতে খুব একটা পিছিয়ে ছিল না দক্ষিণাঞ্চল। অধিনায়ক বিহারি ছাড়াও দলে ছিলেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল, তিলক বর্মা, ওয়াশিংটন সুন্দরদের মতো ক্রিকেটারেরা। তবু জয়ের লক্ষ্য খুব বেশি না হওয়ায় মনে করা হয়েছিল, দলীপ ট্রফি জয় কঠিন হবে না পশ্চিমাঞ্চলের পক্ষে। কিন্তু যাঁরা দলকে জেতাতে পারতেন, তাঁদের অধিকাংশ ২২ গজে দাঁড়াতেই পারলেন না দ্বিতীয় ইনিংসে।